Hare to Whatsapp
ভারতের শীর্ষ স্থানীয় ক্ষেপণাস্ত্র বিজ্ঞানী ডঃ প্রহ্লাদ রামা রাও এর সঙ্গে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের আলাপচারিতা
By Our Correspondent
আগরতলা, নভেম্বর ৪, : আজ সন্ধ্যায় স্কুল অবূ সাইন্স এর উদ্যোগে মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে এক মনােরম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র বিজ্ঞানী ডঃ প্রহ্লাদ রামা রাওকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন – শ্রীমতি ইন্দিরা রাও, শ্রী মানস পাল নির্বাহী সম্পাদক, ত্রিপুরা টাইমস, স্কুল অব সাইন্সের ছাত্রছাত্রীরা।
ডঃ প্রহাদ রামারাও হলেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় ক্ষেপণাস্ত্র বিজ্ঞানী যিনি দেশের মহাকাশ, রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নে অপরিসীম অবদান রেখেছেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি অনেক ভারতীয় মিসাইল সিস্টেমের প্রধান ডিজাইনার ছিলেন, পৃথী, অগ্নি ও নাগ তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল সিস্টেম এবং সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপিত দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমের প্রকল্প প্রণয়ন, পরিচালনা এবং পরীক্ষার সাথে প্রােগ্রাম ডিরেক্টর হিসেবে জড়িত ছিলেন। ২০১৫ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।
ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রােগ্রাম, এর চেয়ারম্যান হিসাবে প্রহ্লাদের আমলে, ভারতীয় মহাকাশ প্রােগ্রামের জন্য রকেট প্রপালশন, বাের্ড এভিওনিক্স, ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম, রাডার সিস্টেম এবং হাইপারসনিক ফ্লাইট যান সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি মূল প্রযুক্তি তৈরি করেছে বলে জানা গেছে। তিনি কমপ্যাক্ট অ্যান্টেনা টেস্ট রেঞ্জ, স্ট্রাকচারাল ডায়নামিক টেস্ট সেন্টার, সুপারসনিক রামজেট ইঞ্জিন টেস্ট সুবিধা, সাবসনিক রামজেট ইঞ্জিন টেস্ট সুবিধা, কম্পােনেন্ট রকেট মােটর টেস্ট সুবিধা, কম্পিউটার ইন্টিগ্রেটেড টোমােগ্রাফি, কম্পিউটেশনাল ফ্লুইড ডায়নামিকস, কম্পিউটেশনাল ফ্লুইড ডায়নামিকস স্থাপনে অবদান রেখেছেন। বলে জানা যায়। তিনি সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম আকাশের প্রকল্প প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর হিসাবে প্রহ্লাদের সময়কালে নৌ-প্রয়ােগের জন্য অ্যাস্ট্রা এয়ার থেকে এয়ার মিসাইল সিস্টেম এবং লং রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেমের মতাে প্রকল্পগুলি শুরু হয়েছিল। প্রতিরক্ষা প্রকিউরমেন্ট প্রসিডিউর ২০০৬ এবং ২০০৮ প্রণয়নেও তার অবদানের কথা বলা হয়েছে।
স্কুল অ সাইন্স ও ত্রিপুরা টাইমস এর যৌথ উদ্যোগে আজ বিকেলে মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে ভারতের এই শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একটি আলােচনায় অংশ গ্রহণ করেন এবং ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ প্রদান করেন। সকল ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উনি সরল ভাষায় উত্তর প্রদান করেন। উনার সান্নিধ্য পেয়ে ছাত্রছাত্রীরা আপ্লুত ও নিজেদের গর্ববােধ করে।