Hare to Whatsapp
আরও গুরুত্বহীন করা হলো প্রাক্তন মুখ্যসচিব মনোজ কুমারকে, দিল্লী থেকে গুয়াহাটি ত্রিপুরা ভবনে বদলী করা হলো!
By Our Correspondent
আগরতলা, অক্টোম্বর ৩০, : রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা ১৯৯০ ব্যাচের আইএএস অফিসার মনোজ কুমারকে শেষ পর্যন্ত গুয়াহাটিতে ত্রিপুরা ভবনে বদলী করলো ত্রিপুরা সরকার। বিজেপি-আইপিএফটি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার থেকে অনেক সিনিয়র আইএএস অফিসারকে বাদ দিয়ে তাকে মুখ্যসচিব পদে বসানো হয়েছিল। কিন্তু ছয়জন ডিঙ্গিয়ে মুখ্যসচিব-এর চেয়ারে বসার পর তার আসল চেহেরা প্রকাশ পায়। প্রশাসনের কাজকর্মে গতি বৃদ্ধির পরিবর্তে উল্টো বিশৃঙ্খলা আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। অফিসারদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির পরিবর্তে আঞ্চলিক গোষ্ঠী বিন্যাস বৃদ্ধির কারনে স্থানীয় অফিসারদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। কোভিড কালে বিভিন্ন সরকারী সিদ্ধান্ত গ্রহনে বিলম্ব এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্যাকেজের খাদ্য সামগ্রী, ওষুধপত্র ক্রয় নিয়ে অযথা কড়াকরি করার কারনে স্বাস্থ্য ও খাদ্য দপ্তরকে ভুগতে হয়েছে। তাই তিতিবিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী এক সময় তাকে ত্রিপুরা থেকে বিদায় করে দিল্লীতে ত্রিপুরা ভবনে চীফ রেসিডেন্ট কমিশনার পদে বসিয়ে দিল্লীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বিভিন্ন কাজকর্ম তদারকির দায়িত্ব দেন। কিন্তু সেই কাজটিও তিনি সঠিক ভাবে করছিলেন না। তার মধ্যে দিল্লীতে ত্রিপুরার ডিজিপি-র জন্যে একটি কোয়ার্টারের খুবই দরকার হয়ে পরে। কেননা, ভি এস যাদব নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসারকে এক্ষনে ত্রিপুরার ডিজিপি পদে বসিয়ে রাখা হয়েছে। অবসর গ্রহনের পর তিনি দিল্লীতে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দের কোন সরকারী কোয়ার্টার পাওয়ার অধিকারী নন। তাই তাকে ত্রিপুরা সরকারের কোটায় সরকারী কোয়ার্টার দিতে হলে দিল্লীতে কোয়ার্টার নিয়ে রেখেছেন তাদের মধ্যে একজনকে দিল্লীর বাইরে পাঠাতে হবে। আর একারনেই মনোজ কুমারকে গুয়াহাটিতে পাঠাতে হয়েছে বলে গুঞ্জন। অবশ্য এ বিষয়ে ত্রিপুরা ভবনের কেউ, কিংবা মনোজ কুমার নিজে বা ত্রিপুরা প্রশাসনের তরফে কেউ সুস্পষ্ট তথ্য দিতে নারাজ। মনোজ কুমার নিজেও কখনোই সাংবাদিকদের টেলিফোন ধরেন না। তাই তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে গত ২৮শে অক্টোবর মনোজ কুমারের বদলীর ব্যাপারে যে অর্ডার বের হয়েছে তাতে শুধু বলা হয়েছে মহামহিম রাজ্যপাল জনস্বার্থে দিল্লীর ত্রিপুরা ভবন থেকে গুয়াহাটির ত্রিপুরা ভবনে মনোজ কুমারকে বদলী করা হয়েছে। একজন প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে দিল্লী থেকে তুলে নিয়ে গুয়াহাটি-র মতো কম গুরুত্বপূর্ন জায়গায় ত্রিপুরা ভবনের রেসিডেন্ট কমিশনার পদে বদলীর সরকারী অর্ডার প্রকাশের পর স্বাভাবিক ভাবেই এনিয়ে কথা উঠবে এবং উঠছে।