Hare to Whatsapp
উত্তর রামচন্দ্র ঘাটের আতঙ্কিত গ্রামবাসী পুলিশের আশ্রয় নিয়েছে
By Our Correspondent
আগরতলা, অক্টোম্বর ২৬, : এক মানসিক বিকারগ্রস্ত পরিবারের দৌলতে আতঙ্কগ্রস্থ উত্তর রামচন্দ্র ঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের সকল স্তরের মানুষ। রবিবার গ্রামের মানুষ পরিবারটির বিকল্প ব্যবস্থা করতে এবং গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে দ্বারস্থ হয় খোয়াই থানার। কারণ উক্ত পরিবারের সদস্যরা গ্রামের কখন কাকে কি করে ফেলে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন গ্রামবাসীদের কাছে। তাই গ্রামের মানুষ নিজেদের জীবন রক্ষায় পুলিশি হস্তক্ষেপে চেয়ে এইদিন এক স্মারকলিপি তুলে দেন খোয়াই থানার অফিসার ইনচার্জ মনোরঞ্জন দেববর্মার হাতে। গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায় যে, উত্তর রামচন্দ্রঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা অনকুল দাসের চার পুত্র রয়েছে। এরা যথাক্রমে অখিল দাস, নিখিল দাস, কোকিল দাস এবং সুমন দাস। এরা সকলেই মানসিক ভারসাম্যহীন। এদের হাতে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গ্রামে আসা বহিরাগত লোকজনেরাও। এদের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গ্রামের মানুষ। গত 21 তারিখ অনুকূল দাসের বড় ছেলে অখিল দাস মদ্যপান করে উত্তর রামচন্দ্র ঘাট বাজারের ব্যবসায়ীদের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তখন বাজারের এক ব্যবসায়ী পীযূষ দাস প্রতিবাদ করে তাকে গালিগালাজ বন্ধ করতে বলে। সেই সময় অখিল চুপচাপ বাড়ি চলে যায়। পরবর্তী সময়ে পীযূষ দাস যখন নিজ বাড়িতে যাবার জন্য অনুকুল দাস এর বাড়ির সামনে আসে তখন অনুকুল দাস এর তিন ছেলে অখিল, কোকিল এবং সুমন লাঠিসোটা নিয়ে পীযূষ দাস এর উপর হামলে পরে। তাদের লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে পীযূষ দাস। শেষে গ্রামবাসীরা উনাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় খোয়াই হাসপাতালে। এই দিন রাতে নিজ সন্তানদের হাতে রক্তাক্ত হন অনুকুল দাস ও তার স্ত্রী। প্রতিদিন কেউ না কেউ তাদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন এবার গ্রামবাসীরা এর একটা বিহিত চান। এইভাবে আতঙ্কিত হয়ে তারা থাকতে চান না। পরিবারটির বিকল্প চিন্তা করা হউক এবং গ্রামে শান্তির পরিবেশ ও গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক পুলিশ প্রশাসন। এই দাবীতে এদিন থানা চত্বরে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামের সকল স্তরের মানুষ।