Hare to Whatsapp
জনজাতিদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে : মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, অক্টোম্বর ২৪, : রাজ্যের হজাগিরি নৃত্যের বরেণ্য শিল্পী সত্যকাম রিয়াংকে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করে হজাগিরি নৃত্য ও রাজ্যের ঐতিহ্যময় কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে প্রকৃত সম্মাননা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যের জনজাতিদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। গতকাল রাতে গোমতী জেলার করবুকে রাজ্যভিত্তিক দু’দিনব্যাপী হজাগিরি উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। করবুক পাঞ্জিয়াম বিদ্যালয় মাঠে রাজ্য সরকার ও টিটিএএডিসি’র যৌথ উদ্যোগে ব্রু সোসিও কালচারেল অর্গানাইজেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী পদ্মাশ্রী সত্যরাম রিয়াংয়ের পক্ষে তার পরিবারের এক সদস্যের হাতে এদিন সম্মাননা তুলে দেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত অতিথিগণ উৎসব প্রাঙ্গণে বিভিন্ন প্রদর্শনী মন্ডপের উদ্বোধন করেন এবং পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরাকে চিনেছেন। হজাগিরি নৃত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব সত্যরাম রিয়াংয়ের মত একজন বিশিষ্ট বরেণ্য শিল্পীকে পদ্মশ্রী উপাধিতে সম্মানিত করেছেন। এর দ্বারা শুধুমাত্র হজাগিরি নৃত্যকে নয়, রাজ্যের ঐতিহ্যময় বিভিন্ন লোক ও অন্যান্য কৃষ্টি সংস্কৃতিকেও সম্মানিত করেছেন। উত্তরপূর্বাঞ্চলের প্রকৃত বিকাশে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গীর স্বরূপ হিসেবে রাজ্যে অবস্থানরত রিয়াং উদ্বাস্তুরা দীর্ঘ অনিশ্চিয়তার আধার কাটিয়ে এক সমৃদ্ধ ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিশা খুঁজে পেয়েছেন। এরফলে মিজোরাম থেকে আসা রিয়াং জনজাতিরা ত্রিপুরায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পেয়েছেন। নিশ্চিত ঠিকানার পাশাপাশি তাদের জীবন মান বিকাশে বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়িত হচ্ছে। ‘পূবে তাকানো’ থেকে ‘পূবে সক্রিয় হও’ এই দৃষ্টিভঙ্গীর ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সার্বিক বিকাশ সাধিত হচ্ছে। জনজাতিদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জীবনমানের বিকাশে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার গুরুত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনজাতিদের জন্য ঘোষিত ১৩ শ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ জনজাতি অংশের মানুষের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও জীবনমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। এর থেকে প্রমাণিত হয় বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার জনজাতি অংশের মানুষের সার্বিক বিকাশে কতটা আন্তরিক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিগতদিনে একটা অংশ বিষাদগ্রস্ত হয়ে ভুল পথে চালিত হয়েছিলেন। যার ফলে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের সাথে যারা যুক্ত তারা, নিরাপত্তাহীনতার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে যেতে চাইতেন না। ফলে উন্নয়ন শুধুমাত্রই কাগজে-কলমে পরিলক্ষিত হয়েছে, বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। কিন্তু বর্তমান জনজাতিদের আর্থ-সামাজিক মান য়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা সফলভাবে রূপায়িত করছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রতি পরিবারের নল যোগে পরিশ্রুত পানীয়জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সমস্ত সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ঘরের মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে।