Hare to Whatsapp
সমাজের অন্তিম ব্যক্তির কাছে সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচির সুফল পৌছে দেওয়াই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য : মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, অক্টোম্বর ২২, : সমাজের অন্তিম ব্যক্তির কাছে সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচির সমস্ত সুফল পৌছে দেওয়াই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। অন্তিম ব্যক্তির প্রতি যোগ্য সম্মান প্রদর্শন ও সার্বিক মানোন্নয়নে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধভাবে কাজ করছে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাধারণ মানুষের বাড়িতে কোজাগরী লক্ষী পুজোতে উপস্থিত হয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। শারদীয় দুর্গোৎসব সাঙ্গ হতেই সৌভাগ্য, ধনসম্পদ, সমৃদ্ধি প্রাপ্তির প্রত্যাশায় কোজাগরী লক্ষ্মী মায়ের আরাধনায় সেজে উঠেছে গৃহস্থের গৃহকোণ। মঙ্গলঘট, ধানের ছড়ার সঙ্গে গৃহস্থের আঙ্গিনায় শোভা পাচ্ছে চালের গুঁড়োর আল্পনায় মা লক্ষ্মীর চরণছাপ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উৎসব মুখর এই দিনগুলি সমাজের অন্তিম ব্যক্তিদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া আমার কাছে আনন্দের। সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের পাশাপাশি অন্তিম ব্যক্তিদের পারিবারিক স্থিতি ও বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্ক আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। কোভিড পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বহুদিন পর এক উৎসব ও আনন্দের বাতাবরণে অংশীদার হওয়ার সুযোগ মিলেছে। কোজাগরীর আরাধনায় আর্থিক উন্নয়নের মাধ্যমে সবার পরিবারের সার্বিক সুখ ও সমদ্ধিতে ভরে উঠবে বলে প্রত্যাশা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ১৯ অক্টোবর জিরানীয়ার বড়জলায় কৃষক সঞ্জীব দেববর্মার বাড়িতে আয়োজিত লক্ষ্মী পুজোয় উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। পরিবারের সদস্য ও এলাকার মানুষদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর চলে যান আগরতলা এমবিবি কলেজ সংলগ্ন পেশায় ই-রিক্সা চালক বিশু বিশ্বাসের বাড়িতে। সেখানেও কোজাগরী লক্ষী দেবীর আরাধনায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর আড়ালিয়া শ্রমজীবী পাড়ার নিবাসী পেশায় রিক্সাচালক প্রশান্ত দাশ ও নমিতা দাশের বাড়িতে আয়োজিত লক্ষ্মী পুজোয় উপস্থিত হন। তাছাড়াও গতকাল গোলাঘাটি এলাকার বিনয় দেববর্মা, এলাকার বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা ও বিশালগড়ে বিপ্লব দের বাড়িতে আয়োজিত লক্ষী পুজোয় অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।