Hare to Whatsapp
আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরর ও চেকপোস্টে বস্তুত নৈরাজ্য কায়েম
By Our Correspondent
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ২৮, : আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরর ও চেকপোস্টে রং এপাশে ওপাশে বস্তুত নৈরাজ্য কায়েম হয়েছে। ফলশ্রুতিতে আমদানি রফতানি বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটছে, মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। অন্যদিকে দুপাড়ের যাত্রীদের মাত্রাতিরিক্ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, বাড়ছে যাত্রীদের দুর্ভোগ।দুপাশেই চলছে বিড়ম্বনা, কতৃপক্ষ আছে কিনা তা বোঝার উপায় নেই।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের কোন এক সময় ঐতিহ্য ছিল। আমদানি রফতানি বাণিজ্যে রাজস্ব আয় ছিল পূবোওর ভারতের মধ্যে সর্বাধিক। কিন্তু গত ক বছর ধরে রাজস্ব আয় হ্রাস পেয়ে চলেছে বলে খবর।
এর পেছনে রয়েছে তদারকি ও নজরদারি র অভাব।কে, কাদে্র উপর নজরদারি চালাবে বা তদারকি করবে তাই বন্দর এলাকায় লাখো প্রশ্ন।কেননা যাত্রীদের চেকপোস্টে র নিয়মবিধি পালন করতে করতে খুব কম হলেও দুঘন্টা লেগে যায়।এপারের মূল বিল্ডিং এ যেতে যেতে দুবার বিএসএফের প্র্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। নিরাপত্তা র স্বার্থে এটা জরুরী ও স্বাভাবিক।এবার এন্ট্রি পয়েন্টে আবার পাসপোর্ট ও মালামাল তল্লাশি, সেইসাথে দেহ তল্লাশি। অর্থ্যাৎ ত্রিস্তর বেষ্টনী ক্রমশ করে যেতে হবে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে। প্রথমেই নজরে আসবে ঝাঁ চকচকে এফবিআই কাউন্টার।ডলার বেঢাকেনার জন্য যাত্রীদের সুবিধার্থে এই কাউন্টার। কিন্তু পোড়া কপাল ,দেখা যাবে কাউন্টার ফাঁকা। দায়িত্বপ্রাপ্ত বাবুদের দেখা নেই, এঁরা কখন আসবে,যাবে তা খোদায় মালুম। ভারতীয় যাত্রীদের চেকপোস্টে এর জন্য বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কেননা বাংলাদেশ পয়েন্টে ডলারের জন্য চাপসৃষ্টি করা হয়ে থাকে।যদি বলা হয়, আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের বাড়ীতে থাকব তাহলেও ঝামেলা।জানতে চাওয়া হয় ভাড়া কোথায় পাবেন? আবার ভ্রমণ ট্যাক্স ৫০০/ দিতে হয় ওখানকার ব্যান্ক কাউন্টারে।ডলার না থাকলে কিভাবে এটা দেয়া হবে? ওদিকের সোনালী ব্যাংকের কাউন্টারে ও এসবিআই র মতো কাউন্টার ফাঁকা থাকে অধিকাংশ সময়।তবে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে আসার সময়ও এটা দেয়া যায়।এর জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।আবার ইমিগ্রেশনে শ খানেক টাকা পাসপোর্টের মধ্যে গুঁজে দিলে মুস্কিল আসান হয়ে যায়।এটা সবাই জানে,কোন গোপনীয়তা নেই। দূর্নীতি ওখানে মুক্ত বলে অনেকেই বলে থাকেন বা ভুক্তভোগী দের অভিজ্ঞতা।
ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের ইমিগ্রেশন, কাস্টমস এ নিয়ম মানতেই জান দফারফা হয়ে যায়।এসব বিধিবদ্ধ ঝামেলা পার হয়ে হাঁটতে হাঁটতে যেতে হবে বাংলাদেশ। ওখানে ও দীর্ঘ লাইন।কাষ্টমস , ইমিগ্রেশন কাউন্টার ফাঁকা থাকে প্রায় সময়ই।একটু বাদেই দায়িত্ব প্রাপ্ত রা আসেন,কিছু কাজ করে বিশ্রাম নেয়ার কথা বলে চলে যান। এটা এদের আদত হয়ে দাঁড়িয়েছে।প্রতিবেদক ২০০১ থেকে এই অবস্থা দেখে আসছে।হেরফের নেই মুখগুলো বদল ছাড়া।ওদিকে ইমিগ্রেশনের সামনেই লনে তিন চারটি চেয়ারে বসে আড্ডা মেরে থাকেন কজন,যাদের সবাই আদব দেয়। এভাবেই এরা ব্রাক্ষনবাড়িয়া এলাকায় বিশাল দালান হাঁকিয়েছেন। বাংলাদেশ অংশে যে কটি পুকুর,জলা রয়েছে ওগুলো ওদের নিয়ন্ত্রণে।
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি দ্রব্য নিয়ে আসা প্রতিটি ট্রাক চালক দের আবার ওদের হাতে তোল্লা দিতে হয় বলে সংবাদ।
এপার ওপার দুপাড়ের কাউন্টার গুলি যে প্রায় সময় পালাক্রমে ফাঁকা থাকে তার পেছনেও নাকি প্রাপ্তি যোগ সক্রিয় রয়েছে।
তবে দু'দেশের চেকপোস্টে কর্মরত দের বড় অংশেরই হামবড়া ভাব রয়েছে।
এই চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে আগমন, নির্গমন হচ্ছে প্রায় দেড় হাজার জন। পর্যাপ্ত কর্মী রয়েছে, রয়েছে পরিকাঠামো,শুধু নেই নজরদারি ও তদারকি।