Hare to Whatsapp
রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিস্ট বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছেঃ কৃষিমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, অক্টোম্বর ৯, : ৮ অক্টোবর আগরতলার মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা ড. ডি পি সরকার, উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফণীভূষণ জমাতিয়া, কৃষি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ টি কে মাইতি, কৃষি দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার সাগর শোভন দেবনাথ সহ দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ। পর্যালোচনা সভায় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, রাজ্যে অর্থনৈতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে সরকার। সভায় তিনি কৃষক কল্যাণে ও কৃষির বিকাশে যে সমস্ত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে সেগুলি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
পর্যালোচনা সভার শুরুতে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ডি পি সরকার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে রাজ্যে কৃষির বিকাশ ও কৃষক কল্যাণে গৃহীত কর্মসুচিগুলির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। পর্যালোচনা সভায় তিনি জানান, রাজ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা ও খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর। কৃষির বিকাশে আগামীদিনে আরও কি কি পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়েও তিনি আলোকপাত করেন।
পর্যালোচনা সভায় শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি, ডাল জাতীয় ফসল চাষে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে তা দূর করা, জৈব চাষের ক্ষেত্রে সহায়ক দলগুলিকে সশক্তিকরণ, সেচের এলাকার সম্প্রসারণ, কৃষকদের দ্রুত কেসিসি কার্ড দেওয়া, এডিসি এলাকায় ধান কেনার কেন্দ্র বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। তাছাড়া উদ্যান জাতীয় ফল ও ফসল চাষের এলাকা সম্প্রসারণ, জলবিভাজিকা প্রকল্পের সুবিধা কৃষকদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।