Hare to Whatsapp
রাজ্যের আরও দুটি কলেজ ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের স্বীকৃতি পেয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, অক্টোম্বর ৬, : রাজ্যের আরও দুটি কলেজ ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের (ন্যাক) স্বীকৃতি পেয়েছে। কলেজ দুটি হলো গন্ডাছড়া এবং অমরপুর সাধারণ ডিগ্রি কলেজ। দুটি কলেজই ন্যাকের বি-গ্রেড স্বীকৃতি পেয়েছে। আজ সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ তার অফিস কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সন্মেলনে এই সংবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানান, বর্তমান সরকারের গত সাড়ে তিন বছরের সময়কালে রাজ্যের মোট ১২টি কলেজ ন্যাকের স্বীকৃতি লাভ করেছে। অথচ বিগত সরকারের ২৫ বছরের সময়কালে মাত্র ৮টি কলেজ ন্যাকের স্বীকৃতি পেয়েছিলো। বাকি ২টি কলেজ লংতরাইভ্যালি ও শান্তিরবাজার কলেজের ন্যাকের স্বীকৃতিও আগামী মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ন্যাকের স্বীকৃতি না পাওয়া গেলে কলেজগুলির গুণগতমান কি অবস্থায় আছে তা যেমন বোঝা যাবে না তেমনি রাষ্ট্রীয় উচ্চশিক্ষা অভিযান (আর ইউ এস এ) থেকেও কোনও ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে না। তাই রাজ্য সরকার কলেজগুলির ন্যাকের স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ত্রিপুরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পাঠদানের বিষয়ে এ বছর থেকে ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাক্রিডিটেশনের স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। তিনি জানান, ত্রিপুরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এই ৫টি ব্রাঞ্চ আছে। এরমধ্যে ১০১৯ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং,ইলেকটনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এই ৩টি বিষয়ে এনবিএ-র স্বীকৃতি পাওয়া গিয়েছিলো। এবছর ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এনবিএ-র স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ত্রিপুরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আগে কোনও বিষয়ে এমটেক করার সুযোগ ছিলো না। ২০২০ সালে ত্রিপুরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মেকানিক্যাল ইলেকট্রনিক্স এবং কম্পিউটার সায়েন্সের ১৮টি আনে এমটেক কোর্স শুরু করা হয়েছে। এবছর থেকে ইলেকট্রিক্যাল এম টেকাকোর করা হবে।
সাংবাদিক সন্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, আজ অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাঁশ পরিবহণের ক্ষেত্রে ট্রানজিট রুলসের সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোধনের ফলে এখন থেকে রাজ্যের যেকোন প্রান্তে যে কোনও উদ্দেশ্যে বাঁশ পরিবহনের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ট্রানজিট পাশ লাগবে না। কিন্তু রাজ্যের বাইরে নিয়ে গেলে বন দপ্তর ট্রানজিট পাশ প্রদান করবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন বর্তমান রাজ্য সরকার গ্রাম পাহাড়ের প্রতি ঘরে রোজগারের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে বাঁশ চাষের উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে রাজ্যে ৪৫ হাজার হেক্টর এলাকা বাঁশ চাষের আওতাভুক্ত। গ্রামীণ ও পাহাড়ি এলাকার মানুসকে বাঁশের ব্যবসা করতে গিয়ে যাতে কোনও ধরনের রয়্যালটি না দিতে হয় তার ব্যবস্থা বর্তমান রাজ্য সরকার ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকেই করে দিয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান।