Hare to Whatsapp
রাজ্যে উদ্যোগপতিদের শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত করে তুলতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, অক্টোম্বর ২, : রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজন শিল্পে বিনিয়োগ। তাই আরও বেশি করে উদ্যোগপতিদের রাজ্যে শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত করে তুলতে হবে। রাজ্যে এখন শিল্প স্থাপনের অনুকূল পরিবেশ ও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরকে উদ্যোগী হতে হবে। আজ সচিবালয়ের ১ নং সভাকক্ষে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সভায় শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচি পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে শিল্পের বিকাশে রাজ্যে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যকে ভিত্তি করে শিল্প স্থাপনে জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে রাজ্যে উৎপাদিত বাশ, রাবার, মধু ইত্যাদিকে ভিত্তি করে শিল্প স্থাপনের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের উদ্যোগপতিদেরও রাজ্যে শিল্প বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যে পাওয়ার ইন্টেনসিভ ইন্ডাস্ট্রি গড়ার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে রাবার উড ফার্নিচার, ট্রান্সফরমার তৈরি ইউনিট, ইলইডি বাল্ব ইতাদি শিল্প ইউনিট স্থাপন করা যেতে পারে। এই শিল্প গড়ে উঠলে রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির পাশাপাশি রোজগারেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। সাবুমে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পের বিকাশে বাইরের বড় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত করে তোলার উপরও মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি রাজ্যে আরও ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট গড়ে তোলার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরােপ করেন। রাজ্যের স্থানীয় লোকেদের রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন।
পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী সিমনায় একটি বর্ডার হাট গড়ে তোলার জন্য দপ্তরকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেসব বর্ডার হাট স্থাপনের কাজ চলছে তা দ্রুত সম্পন্ন করার জন্যও দপ্তরকে নির্দেশ দেন। বর্তমানে যেসব বর্ডার হাট চালু রয়েছে তার আরও উন্নতি সাধনেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি রাজ্যে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের পরিধি আরও বাড়ানোর জন্য দপ্তরকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য প্রকল্পগুলির সঠিক রূপায়ণে দপ্তরকে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। ব্যাংকের সাথে নিয়মিত পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রকল্পগুলির সঠিক বাস্তবায়নে দপ্তরকে আর ও সচেষ্ট হয়ে কাজ করারও পরামর্শ দেন। পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী কলমিস্ত্রি, ইলেক্ট্রিসিয়ানের প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব আরোপ করে সারা রাজ্যে বড় মাত্রায় এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেওয়ার জন্য দপ্তরকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেন। সভায় মুখ্যমন্ত্রী সারা বছরব্যাপী হাপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন উন্নয়নমূক ক্ষেত্রগুলিকে নিয়ে মেলা আয়োজন করার পরামর্শ দেন।