Hare to Whatsapp
রাজ্যে কৃত্রিম গো-প্রজননে গাভীর সংখ্যা বাড়ছে : প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ২৯, : রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গোধন প্রকল্প রূপায়ণে সাফল্য আসছে। কৃত্রিম গো-প্রজননে গভীর সংখ্যা বাড়ছে। এই প্রকল্পে রাজ্যে চলতি অর্থবছরে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডোজ হিমায়িত বীর্যের মাধ্যমে কৃত্রিম গো-প্রজননের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আগস্ট মাস পর্যন্ত ৩০,৫৯৭টি কৃত্রিম গো-প্রজনন করানো হয়েছে। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান দাস এই সংবাদ জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের সাফল্যগুলি তুলে ধরেন প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী। তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে রাজ্যকে দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা রাজ্য সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এই লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করার জন্য রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গোধন প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে সেক্স সর্টেড সিমেন পদ্ধতির মাধ্যমে স্ত্রী বাছুরের সংখ্যা বৃদ্ধি করাই অন্যতম লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গোধন প্রকল্প রূপায়ণে ১৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে। ইতিমধ্যেই প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরকে এই প্রকল্পে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ এই তিন অর্থবছরে মোট ৩ লক্ষ ২২ হাজার ডোজ হিমায়িত বীর্যের মাধ্যমে কৃত্রিম গো-প্রজনন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত এই প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১৬৩টি বাছুরের জন্ম হয়েছে। এরমধ্যে ১৫৮টি স্ত্রী বাছুর হয়েছে, সাফল্যের হার প্রায় ৯৭ শতাংশ।
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাণীসম্পদ বিকাশমন্ত্রী জানান, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার জনগনকে আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনা একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে চলতি অর্থবছরে ৩০ হাজার ৬০টি পরিবারকে মোরগ পালনে, ৫,৮০০টি পরিবারকে শূকর পালনে এবং ২৯০০টি পরিবারকে ছাগল পালনে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আগস্ট মাস পর্যন্ত ২,৭৯৮টি পরিবারকে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর থেকে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী জানান, ন্যাশনাল লাইভস্টক মিশন প্রকল্পে ৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকার মঞ্জুরি পাওয়া গেছে। এই প্রকল্পে ৫৮০টি পরিবারকে শূকর ও ৫৮০টি পরিবারকে ছাগল পালনে সহায়তা দেওয়া হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, বনাধিকার আইনে পাট্টা প্রাপক ১,৫০০টি পরিবারকে উন্নত প্রজাতির শূকর পালনে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এজন্য ব্যয় হবে ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই ৩৪৫টি পরিবারকে উন্নত প্রজাতির শূকর দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল লাইভস্টক মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে সিপাহীজলা জেলার আমতলিতে একটি নতুন শূকর পালন খামার গড়ে তোলা হবে। এজন্য ২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। তাছাড়াও বর্তমান অর্থবছরে উনকোটি জেলায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন হাঁস পালন খামার গড়ে তোলা হবে।