Hare to Whatsapp
সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সংবাদ আরও বেশি করে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ২৯, : আন্তর্জাতিক স্তরে রাজ্যের ঐতিহ্যময় প্রাচীন সংস্কৃতিকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। রাজ্যের লুপ্তপ্রায় সংস্কৃতির রক্ষণাবেক্ষণ ও তার প্রসারে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে। আজ সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের এক পর্যালোচনাসভায় একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। পর্যালোচনাসভায় তিনি বলেন, আন্তঃরাজ্য ও বাংলাদেশের সাথে রাজ্যের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, এতে রাজ্যের সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ হবে। তাছাড়াও রাজ্যের জেলা ও মহকুমাস্তরেও বর্ষপঞ্জির সাংস্কৃতিক কর্মসূচির বাইরেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নিতে হবে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরকে। এতে রাজ্যে সম্প্রীতির বন্ধন যেমন সুদৃঢ় হবে তেমনি একটি সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল গড়ে উঠবে। যাতে সমৃদ্ধ হবে সমাজ। পর্যালোচনাসভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী রাজ্যে আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র উৎসব ও বৃহৎ আকারে সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। রাজ্যে একটি ফিল্ম ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার উপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, রাজ্যে শিল্প সাংস্কৃতির চর্চার সুযোগ ও পরিধি বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে দপ্তরকে রাজ্যের লোকরঞ্জন শাখাগুলির পুনর্গঠনের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।
পর্যালোচনা সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, জনকল্যাণে যুক্ত দপ্তরগুলির সাথে নিবিড় সংযোগ তৈরি করে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সংবাদ আরও বেশি করে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর হচ্ছে রাজ্য সরকারের চোখ ও কান। সরকারের সমস্ত উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ও প্রকলেপর কথা মানুষের কাছে পৌছে দিতে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে দপ্তরের। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা সরকারের উন্নয়ন কর্মসুচির সংবাদ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য দপ্তরকে নতুন নতুন উদ্ভাবনী ভাবনা আনতে হবে। সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী দপ্তরের তথ্য ও সাংস্কৃতিক আধিকারিক ও সরকারি সাংবাদিকদের জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ের সাথে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। রাজ্যে জনকল্যাণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যে সমস্ত উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে তার সংবাদ প্রচার করতে হবে। এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে দপ্তরের জেলা এবং মহুকুমারের আধিকারিক ও কর্মচারিদের। সাপ্তাহিক রূপরেখা তৈরির মাধ্যমে লক্ষমাত্রা স্থির করে কাজ করতে হবে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত চর্চার মাধ্যমে নিজেদের লিখন শৈলীকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কি করে সংবাদ পরিবেশনে দক্ষতা বাড়ানো যায় সেজন্য প্রশিক্ষনের উদ্যোগ নিতে হবে দপ্তরকে।