Hare to Whatsapp
ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী সম্পর্ক স্থাপনে তাঁর ভূমিকার কথা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে, গৌতম দাশের মৃত্যুতে শোক ব্যক্ত করে বললো ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় কেন্দ্র
By Our Correspondent
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ১৭, : গৌতম দাশ - এর অকাল প্রয়ানে গভীর শোক ব্যক্ত করেছে ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় কেন্দ্র, আগরতলা। সংস্হার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাক্তন সহ-সভাপতি গৌতম দাশ আর আমাদের মাঝে নেই। আমরা বাকরুদ্ধ, শোকবিহ্বল। ত্রিপুরায় সংস্কৃতি আন্দোলনের প্রবাদপ্রতিম ব্যাক্তিত্ব গৌতম দাশের প্রয়াণে শুধু মাত্র ত্রিপুরা নয়,দক্ষিণ এশিয়ায় মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে তাঁর অপরিসীম ভূমিকার কথা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে। এই উপমহাদেশের বহু মানুষের সঙ্গে তাঁর ব্যাক্তিগত যোগাযোগ , নিষ্ঠা ও ভালবাসা আমাদের অবাক করতো। শত অনুকরণ করেও যা আয়ত্ব করা কঠিন ।এমন গভীর অনুধ্যন নিয়ে তিনি প্রতিটি কাজ করতেন।সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় ছিলো তাঁর স্মৃতিশক্তি। প্রতিটি দুঃসময়ে আমাদের কাছে তিনি ছিলেন প্রেরণা ও পরামর্শের বাতিঘর। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের একজন অকৃত্রিম বন্ধু ও সুহৃদ। গণসংস্কৃতি ও গণচেতনা বিকাশে তাঁর অবদানের টুকরো টুকরো স্মৃতিগুলো আজ আমাদের ভারাক্রান্ত করে তুলছে। তাঁর প্রতিটি স্মৃতি , অনবদ্য অবদান গুলো আমাদের শক্তি যোগাবে।
প্রয়াত গৌতম দাশের সুযোগ্য কন্যা স্বাগতা দাশ ও স্ত্রী শ্রীমতী তপতী সেনসহ সমস্ত আত্মীয় পরিজনদের প্রতি আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জানাই সমশোক ও সমবেদনা।
বিভু ভট্টাচার্য,
সাধারণ সম্পাদক
ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় কেন্দ্র - এর তরফে 16 সেপ্টেম্বর বিবৃতিটি জারী করা হয়।