Hare to Whatsapp
পশ্চিম জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতে ই-সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি
By Our Correspondent
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ১৪, : "ন্যায় বিচার পেতে সাধারণ মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। মানুষের সমস্যায় পাশে দাঁড়ান। কারণ আমরা বিচার বিভাগের একটা অংশ। মানুষকে বিচার পাইয়ে দেওয়া আমাদের অন্যতম কর্তব্য।" ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকেলে আগরতলার পশ্চিম জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতে ই-সেবা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে একথা বলেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ কুরেশি। আলোচনায় অংশ নিয়ে দেশ ও বিশ্বব্যাপী করোনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বিচার ব্যবস্থায় ই-সেবা কেন্দ্রের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। প্রধান বিচারপতির কথায় করোনা আমাদের ভার্চুয়াল পদ্ধতির গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন করে ধারণা দিয়েছে। ইতি পূর্বে ত্রিপুরা হাইকোর্টেও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারের কাজকর্ম হয়েছে। তাই ই-সেবা কেন্দ্র একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এদিন শুরুতেই দোতালায় ই-সেবা কেন্দ্রের দ্বারোদঘাটন করেন প্রধান বিচারপতি এ কুরেশি। তাঁর সাথে ছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্র, বিচারপতি অরিন্দম লোধ এবং বিচারপতি সত্য গোপাল চট্টোপাধ্যায় সহ বিচার বিভাগের পদস্থ আধিকারিকগণ। উল্লেখ্য, সুপ্রিমকোর্টের উদ্যোগে সারা দেশে ই-সেবা কেন্দ্র চালু করার কাজ শুরু হয়।
২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা হাইকোর্টে ই-সেবা কেন্দ্রের সূচনা হয়। জেলা ও দায়রা জর্জের আদালতে এই পরিষেবার প্রথম সূচনা হল আগরতলা অর্থাৎ পশ্চিম জেলাতে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্র ই-সেবা কেন্দ্রের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন। পাশাপাশি ই-সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষ যাতে উপকৃত হয় সেটা দেখতে পরামর্শ দেন৷ এদিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জর্জ বিচারক অংশুমান দেববর্মা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য আইন দপ্তরের সচিব বি পালিত, ত্রিপুরা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি মৃনাল কান্তি বিশ্বাস সহ আইনজীবীগণ।
ই-সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে জনসাধারণ বিচার ব্যবস্থার বিভিন্ন সহায়তা ও সুবিধা পাবেন। যার মধ্যে রয়েছে কোন মামলার শুনানি তারিখ এবং মামলা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য। পিটিশনের হার্ডকপি স্ক্যানিং করা, ই সিগনেচার যুক্ত করা, সিআইএসে এসব কাগজপত্র আপলোড করা ও ফাইলিং নম্বর সৃষ্টি করা, বিভিন্ন পিটিশনের ই ফাইলিং এর সুযোগ করে দেওয়া, অনলাইনে ই স্ট্যাম্প পেপার/ ই পেমেন্ট করা প্রক্রিয়াতে সহায়তা প্রদান করা। সংশোধনাগারে থাকা আত্মীয়দের সাথে দেখা করার জন্য ই-মুলাকাতের বুকিং করা। কোন আদালতের অবস্থান সম্পর্কে জানা অথবা কোন মামলার শুনানি হয়েছে কিনা সেসম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা। ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি, হাইকোর্ট লিগ্যাল সার্ভিস কমিটি এবং সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল সার্ভিস কমিটি থেকে কিভাবে বিনামূল্যে আইনী পরিষেবার সুযোগ নেওয়া যায় সেবিষয়ে জনগণকে পরামর্শ দেওয়া। ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে ট্রাফিক চালান সম্পর্কিত মামলার নিষ্পত্তি করা সহ বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়া যাবে ই-সেবা কেন্দ্রে।