Hare to Whatsapp
সচিবালয়ে সুপার ৩০ প্রকল্পে বাছাইকৃত সেরা ৩০ জন ছাত্রছাত্রী সহ তাদের অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা : শিক্ষামন্ত্রীর
By Our Correspondent
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ৯, : শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ শিক্ষা দপ্তরের সুপার ৩০ প্রকল্পে প্রথম ব্যাচের বাছাইকৃত সেরা ৩০ জন ছাত্রছাত্রী সহ তাদের অভিভাবকদের নিয়ে আজ সচিবালয়ের ২ নং সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সুপার ৩০ প্রকল্পে বাছাইকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের পঠনপাঠনের অগ্রগতি এবং অধ্যায়নরত কোচিং সংস্থাগুলি থেকে তারা উপকৃত হচ্ছে কিনা বা সংস্থাগুলিতে পড়াশুনার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা রয়েছে। কিনা সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে অবহিত হতেই এই সভা আহ্বান করা হয়।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষা দপ্তর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে সুপার ৩০ প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পে এনইইটি এবং জেইই পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য রাজ্যের বাছাইকৃত সেরা ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিজেদের পছন্দমতো ভারতের বিখ্যাত কোচিং সংস্থাগুলিতে কোচিং নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং সহ তাদের থাকা খাওয়ার ব্যয়ভার বহণ করবে রাজ্য সরকার। প্রতি বছর প্রতি ছাত্র-ছাত্রী পিছু কোচিং বাবদ ১ লক্ষ এবং থাকা খাওয়া বাবদ ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। রাজ্য সরকারের প্রতি বছর এই প্রকল্পে খরচ হবে ৭২ লক্ষ টাকা। তিনি বলেন, গত বছরের সুপার ৩০ প্রকল্পে বাছাইকৃত ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে ২৭ জন। নয়াদিল্লীর আকাশ ইনস্টিটিউট এবং ৩ জন কোটার অ্যালেন ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউশনে কোচিং নিচ্ছে। বর্তমানে কোটার অ্যালেন ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউশনে ছাত্র-ছাত্রীরা অফলাইনে কোচিং এবং কাশ ইনস্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইনে কোচিং নিচ্ছে।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের প্রতি নিজ নিজ কোচিং সংস্থাগুলিতে ১০০ শতাংশ উপস্থিতি বজায় রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এর ফলে ফলাফলে ইতিবাচক প্রভাব পরবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অভিভাবকরা রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের প্রতি সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। অতীতে এই ধরনের প্রকল্প দেখা যায়নি বলেও অভিভাবকরা জানান। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে অভিভাবকরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। এই প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা আগামীদিনে ভাল ফলাফল কববে। পাশাপাশি এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে সেটা শিক্ষার মাধ্যমে রাজ্যের ছেলে মেয়েরা রাজ্যকে আলো দেখাবে বলে শিক্ষামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।