Hare to Whatsapp
রাজ্যে চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে আগ্রহী সরকার : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ৯, : রাজ্যে চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে আগ্রহী সরকার। রাজ্যের শিল্প সংস্কৃতির প্রসারের সুযোগ তৈরি ও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌছে দিতে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরকে উদ্যোগ নিতে হবে। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২নং প্রেক্ষাগৃহে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এক সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং সোসাইটি ফর ম্যানেজমেন্ট অব কালচারাল কমপ্লেক্সের উদ্যোগে নবনিযুক্ত তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকে সংবর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে স্মারক উপহার ও স্বামী বিবেকানন্দের বই তুলে দেওয়া হয় মন্ত্রীর হাতে। এরপর তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী রাজ্য সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটি ও সোসাইটি ফর ম্যানেজমেন্ট অব কালচারেল কমপ্লেক্স কমিটির সদস্যগণের সাথে পরিচিত হন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী বলেন, রাজ্যের শিল্প সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। রাজ্যে সম্ভাবনাময় চলচ্চিত্র ক্ষেত্রের বিকাশ ও অনুকূল পরিবেশ তৈরির বিষয়টিও সরকারের ভাবনায় রয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসাম, পশ্চিমবঙ্গ পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে শিল্প সংস্কৃতির আদান প্রদানের মাধ্যমে রাজ্যের সাংস্কৃতিক চর্চার পরিসরকে কি করে আরও সমৃদ্ধ করে তোলা যায় তার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। তার পাশাপাশি রাজ্যে কালচারেল হাব তৈরি করার পরিকল্পনা আরও গতি আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি রাজ্যে একটি চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান। চালু করা ও চলচ্চিত্র উৎসব করার রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। জেলা ও মহকুমা স্তরে সাংস্কৃতিক চর্চার সুযােগ বৃদ্ধির পাশাপাশি এইক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদের যুক্ত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর হচ্ছে সরকারের দর্পণ। সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ও বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে জনজাগরণ তৈরিতে আরও অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে দপ্তরকে। পরিষেবা প্রদানকারী দপ্তরগুলির সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে জেলা এবং মহকুমা স্তরের আধিকারিকদেরও লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, মহকুমা স্তর থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজ, সফলতা যত বেশি আরও বেশি করে প্রচারে আনতে হবে। প্রত্যেকে নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত হওয়ার পাশাপাশি সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। নির্ধারিত কাজের পর্যালোচনার মাধ্যমে দুর্বলতাগুলি চিহ্নিত করে তার থেকে সুরাহার পথ বের করতে হবে।