Hare to Whatsapp
বনভিত্তিক সম্পদকে ব্যবহার করে জনজাতিদের রোজগারের নিশ্চয়তা তৈরির লক্ষ্যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, আগষ্ট ২৭, : রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষের রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। বনভিত্তিক সম্পদকে ব্যবহার করে জনজাতি অংশের মানুষের রোজগারের নিশ্চয়তা তৈরির লক্ষ্যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আজ হেজামারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দিবারাত্রি স্বাস্থ্য পরিষেবার সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন রাজ্যের বনভূমি থেকে প্রাপ্ত ফুলঝাডুর পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য বনজ সম্পদ সহায়কমূল্যে বিক্রয়ের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরফলে রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষদের বড়মাত্রায় রোজগারের সুযোগ খুলে যাবে। পাশাপাশি জনজাতিদের আর্থসামাজিক মানােন্নয়ন এবং কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশেও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয়জল, বিদ্যুৎ, খাদ্য, রোজগার অত্যাবশ্যকীয় এই বিষয়গুলিকে মানুষের কাছে পৌছে দিতে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে পরিকাঠামো ও পরিষেবা উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে সরকার। রাজ্যের সমস্ত অংশের নাগরিকদের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে একাধিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিম বাড়িতে পরিশ্রত পানীয়জল পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর দেববর্মণ যে আধুনিক ত্রিপুরার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। রাজ্যে জনজাতিদের সম্মানার্থে উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের নাম পরিবর্তন করে জনজাতি কল্যাণ দপ্তর করা হয়েছে। বহিরাজ্য থেকে সড়কপথে রাজ্যে প্রবেশের সময় বহিরাজ্যের নাগরিকরা যেন ত্রিপুরার ইতিহাস ও জনজাতিদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে সেই লক্ষ্যে বড়মুড়া পাহাড়ের নাম হাতাইকতর করা হয়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তা প্রকৃত সুবিধাভোগীদের মধ্যে পৌছে দেওয়া হচ্ছে। এর সুফল হিসেবে দিল্লি থেকে পাঠানো বিভিন্ন প্রকল্পের ১০০ শতাংশ অর্থরাশি ও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন প্রকৃত সুবিধাভোগীরা। এরজন্য কোনও জনপ্রতিনিধির পেছন ছুটতে হচ্ছে না। বরং সরকারের স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির ফলে জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকরা বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তা অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে কাজ করছেন। গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশের পাশাপাশি স্টার্টআপ সহ অন্যান্য পন্থায় রোজগার তৈরি হচ্ছে রাজ্যে। নির্মীয়মান জাতীয় সড়ক রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করছে।