Hare to Whatsapp
নজরধারীর বড়ই অভাব, স্মার্ট সিটি থেকে জাতীয় সড়ক নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়ম, কেলেঙ্কারী, তদন্তের দাবী
By Our Correspondent
আগরতলা, আগষ্ট ২৩, : করোনার কঠিন পরিস্থিতির মুখে যথাযথ নজরধারীর অভাবে রাজ্যে বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের কাজকর্ম যথাযথ নজরধারীর অভাবে যেমন খুশী কাজকর্ম চলছে বলে বেশ কিছু সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে।
সংবাদ সূত্রে প্রকাশ, রাজধানী আগরতলা শহরে স্মার্ট সিটির কাজকর্ম থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নয়া ও পুরাতন জাতীয় সড়ক সংস্কার ও নির্মাণের যেসব কাজকর্ম চলছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজকর্ম চলছে। এনিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন মিডিয়ায় গত ক’মাস ধরেই ইতস্তত বিক্ষিপ্ত ভাবে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু এসব অনিয়ম ও নিম্ন মানের কাজকর্ম নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে বা হচ্ছে বা জাতীয় সড়কের সংস্কার বা নয়া জাতীয় সড়কের কাজকর্ম সঠিকভাবে চলছে কিনা, রাজ্য সরকারের কোন এজেন্সী বহিঃ রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারী এজেন্সির কাজকর্মের তদারকি করেছেন তা রাজ্য পূর্ত দপ্তরের কেউ বলতে চান না।
জানা গেছে, কাঞ্চনপুর জম্পুই-এর নয়া জাতীয় সড়কের নির্মান কাজের জন্যে ২২৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। ২০ কিমি এই রাস্তার নির্মান কাজ গত এক বছর ধরে চলছে। কিন্তু যে গুনমানের পাথর ব্যবহৃত হচ্ছে বা যেহারে বিভিন্ন জায়গায় সড়ক প্রশস্থ হওয়ার কথা বহুক্ষেত্রেই তা হচ্ছে না, এক কিমি রাস্তা নির্মানের জন্যে এক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকার বেশী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের একটি ঠিকাধারী সংস্থাকে কাজটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেভাবে জোড়াতালি দিয়ে রাস্তার কাজকর্ম চলছে তাতে স্থানীয় মানুষজন বেজায় ক্ষুব্ধ। একই রকম ভাবে কৈলাশহর, কমলপুর সেকশানেও জাতীয় সড়কের নির্মান কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে না বলেই স্থানীয় সূত্রে বলা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফে এসব কাজের যথাযথ তদারকি ও নজরধারীর দাবী উঠেছে। একই রকমভাবে রাজধানী আগরতলা শহরে স্মার্টসিটির নির্মান কাজকর্ম নিয়েও যথাযথ তদারকির দাবী উঠেছে। কেননা, নিয়ম অনুযায়ী স্মার্টসিটির কোন প্রকল্পের সাইটেই কোথায় কি কি কাজ হওয়ার কথা , কতটা টাকা বাজেট বরাদ্দ, কবে কাজ শেষ হবে ইত্যাদি বিষয়ে কথা থাকলেও কোন সাইন বোর্ড বা প্রজেক্ট মানচিত্র কোথাও নেই। বহুক্ষেত্রে রাস্তা নির্মান, ড্রেন নির্মান কিংবা পার্ক এর কাজ শেষ হয়ে গেছে বলে ঠিকাদাররা প্রচার করলেও দেখা গেছে বহু পার্ক, রাস্তা, ড্রেন নির্মানের কাজের কোন ফিনিশিং টাচ নেই। শুধু তাই নয়, শহরের বহু জায়গায় ট্রাফিক সিগন্যাল অকেজো। রাতে লাইট জ্বলে না। জ্বললে সকালে তা বহু জায়গায় যথা সময়ে নেভানো হয়না। পুর পরিষদে সাধারণ মানুষ কার কাছে এসব ব্যাপারে অভিযোগ জানাবেন তারও কোন ব্যবস্থা নেই।