Hare to Whatsapp
প্রদেশ কংগ্রেস সহ সভানেত্রী তথা পৌর কাউন্সিলের প্রাক্তন সদস্য, স্যন্দন সম্পাদকের পত্নী প্রয়াত
By Our Correspondent
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ২৩, : প্রদেশ কংগ্রেস সহ সভানেত্রী তথা পৌর কাউন্সিলের প্রাক্তন সদস্য, সমাজকর্মী স্যন্দন পত্রিকার সম্পাদক সুবল কুমার দে’র স্ত্রী কল্যানী দে-র জীবনাবসান হয়েছে। আজ দুপুর ২.৩০ মিনিট নাগাদ ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের আই সি ইউ’তে তিনি প্রয়াত হয়েছেন। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। মৃত্যুকালে স্বামী, দুই পুত্র, পুত্রবধূদ্বয়, নাতি, নাতনীসহ স্যন্দন পরিবারের সদস্য/সদস্যাদের সহ বহু গুনমুগ্ধদের রেখে গেছেন। কর্মজীবনে তিনি শিক্ষা দপ্তরের কর্মী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসের সহ-সভানেত্রী এবং আগরতলা ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হিসাবে বিভিন্ন জনহিতকর কাজে যুক্ত ছিলেন।
তিনি স্যন্দন পত্রিকার অর্থ বিভাগের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের আপ্রান প্রচেষ্টা সত্ত্বেও জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে আজ তাঁর জীবনদীপ নির্বাপিত হয়। তাঁর মৃত্যুতে স্যন্দন পরিবারে এবং সংশ্লিষ্ট মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কল্যানী ডে দীর্ঘ প্রায় দু-মাস ধরে ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের আই সি ইউ’তে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের আই সি ইউ’তে গত ১৯ দিন ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন। এই সময়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, মখ্যমন্ত্রী জায়া নীতি দেব, শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ, প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরী, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পীযুষ বিশ্বাসসহ সবকয়টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা শ্রীমতি দে’কে দেখতে আই এল এসে যান এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। এছাড়া স্যন্দন পত্রিকার বহু শুভার্থী, সাংবাদিক বন্ধুরা, বিশিষ্ট সমাজ সেবকরা তাঁকে দেখতে ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে যান। আজ শ্রীমতি দে-এর পার্থিব দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর শত শত শুভার্থী বাড়িতে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন। শ্রীমতি দে’র প্রয়াণে সকল মহলেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন মহল থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
তার মৃত্যুতে আগরতলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে গভীর শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে। তার পরিবার পরিজনদের প্রতিও আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে আগরতলা প্রেসক্লাব।