Hare to Whatsapp
রাজ্যে ৭২, ৯৫৫ মেট্রিকটন ধান সহায়কমূল্যে ক্রয় করা হয়েছে : খাদ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, আগষ্ট ৫, : খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এই সভায় খাদ্য ও ক্রীড়ামন্ত্রী মনোজকান্তি দেব উপস্থিত ছিলেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক শংকর রায়, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, জেলাশাসক ও সমাহর্তা সাজু ওয়াহিদ এ, জেলা সভাধিপতি কাকলী দাস দত্ত, সহকারি সভাধিপতি বিভীষণ চন্দ দাস, খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সুবিকাশ দেববর্মা, মহকুমা শাসকগণ এবং দুই দপ্তরের আধিকারিকবৃন্দ। সভায় ক্রীড়ামন্ত্রী জেলায় দুই দপ্তরের কাজের সাফল্য, সমস্যা এবং বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।
সভায় খাদ্যমন্ত্রী মনোজকান্তি দেব দূর্নীতিগ্রস্ত রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন মহকুমা শাসককে। সভায় বিধায়ক শংকর রায় রেশনকার্ড আলাদা করার পদ্ধতি সরলীকরণ করা, অন্ত্যোদয় রেশনকার্ডধারীদের সার্ভে করা, সহায়কমূল্যে ধান ক্রয়ের সময় পরিমাপক মেশিনের সংখ্যা বাড়ানো, জনজাতি এলাকায় ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা করে রেশন দোকানের সংখ্যা বাড়ানোর ইত্যাদি বিষয়ে প্রস্তাব রাখেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বলেন, এবছর মুখ্যমন্ত্রী স্পেশাল কোভিড রিলিফ প্যাকেজে রাজ্যে প্রায় ৭ লক্ষ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে সহায়কমূল্যে রাজ্যে এখনো পর্যন্ত মোট ৭২, ৯৫৫ মেট্রিকটন ধানক্রয় করা হয়েছে। তারমধ্যে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা থেকে ক্রয় করা হয়েছে ২৬, ১৩৮ মেট্রিকটন ধান। তাতে জেলায় মোট ১২,৮১৫ জন কৃষক উপকৃত হয়েছে।
সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে প্রায় ৩৯ হাজার এমন পরিবার রয়েছে যাদের পরিবারে শারীরিকভাবে অক্ষম বা ৬০ উর্ধ্ব একদু’জন সদস্য রয়েছেন। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের বাড়িতে রেশন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্য সরকার পুরানো রেশনকার্ডের পরিবর্তে স্মার্ট রেশনকার্ড দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। ওয়ান নেশন ওয়ান রেশনকার্ড কর্মসূচিতে ত্রিপুরা ভারতের প্রথম দুটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে। সারা রাজ্যে প্রায় ৩০-৩২ হাজার পরিবার এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ১,৫০০- ১,৬০০ পরিবার এই সুবিধা পাচ্ছেন। রাজ্যে নতুন করে আরও ৪০৮টি রেশনশপ খোলা হবে। তারমধ্যে দক্ষিণ ত্রিপুরায় খোলা হবে ৩৮টি।
সভায় ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ওপেন জিম খোলা হয়েছে। স্পেনিশ প্রশিক্ষক এনে রাজ্যে ৮টি সেন্টারে ফুটবলের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এমাস থেকে রেশনে আবার মশুর ডাল দেওয়া হবে। এপিএল’রা ৮৪ টাকা কেজি এবং বিপিএল’রা ৫৯ টাকা কেজি দরে মশুর ডাল পাবেন।