রাজ্যের জাতি-জনজাতিদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে : অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ১৫, : মানব জীবনের মান উন্নয়নে সংস্কৃতির অবদান অনস্বীকার্য। সুস্থ সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে সাংস্কৃতিক মনস্ক মানসিকতার প্রয়োজন। তাই রাজ্যের জাতি-জনজাতিদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি উদয়পুরের রাজর্ষি কলাক্ষেত্রে শাস্ত্রীয় সংগীত সন্ধ্যার উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় একথা বলেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতবর্ষে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর লোকের বসবাস। আন্তঃরাজ্য সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন বাড়াতেও সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, উদয়পুরকে সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।
অনুষ্ঠানে রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, রাজ্য সরকার রাজ্যভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে জেলা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে আজ উদয়পুরে শাস্ত্রীয় সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, রাজ্যের মিশ্র সংস্কৃতি আজ সারা দেশে সমাদৃত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার ও অন্যান্য অতিথিগণ। অনুষ্ঠানে শিল্পীদের উত্তরীয় ও পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। শাস্ত্রীয় সংগীত সন্ধ্যায় কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা শিল্পী বিদুষী শাশ্বতী সেন (দিল্লি)। বেহালা বাদনে ছিলেন রাজ্যের বিশিষ্ট শিল্পী ত্রিপুরাভূষণ পন্ডিত সুবল বিশ্বাস। তাছাড়াও তবলা লহরায় ছিলেন বিশিষ্ট তবলা বাদক শিল্পী সুব্রত তালুকদার। কণ্ঠ সংগীতে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী পদ্মমৌলিশ্বর আদিত্য অংশ নেন।
আরও পড়ুন...