Hare to Whatsapp
ত্রিপুরা জার্নালিস্ট পেনশন স্কিম-২০২১ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত
By Our Correspondent
আগরতলা, জুলাই ৮, : রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত পেশাদার সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষায় ত্রিপুরা জার্নালিস্ট পেনশন স্কিম-২০২১ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। গতকাল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের সাংবাদিকদের কল্যাণে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এই প্রকল্পটি দুটি ভাগে বাস্তবায়িত হবে। প্রথমটি হলো ত্রিপুরা জার্নালিস্ট সম্মান পেনশন স্কিম এবং দ্বিতীয়টি হলো ত্রিপুরা জার্নালিস্ট পরিবার সুরক্ষা পেনশন স্কিম। মূলত প্রথম ভাগের প্রকল্পটি অর্থাৎ ত্রিপুরা জার্নালিস্ট সম্মান পেনশন স্কিমটি বর্তমান স্কিম ফর পেনশন বেনিফিটস টু দ্য জার্নালিস্টস / ফটো জার্নালিস্টসের পরিবর্তে গৃহীত হয়েছে। বর্তমান প্রকল্পের (স্কিম ফর পেনশন বেনিফিটস টু দ্য জার্নালিস্টস / ফটো জার্নালিস্টস) সুবিধাভোগীরা সবাই নতুন প্রকল্পের আওতায় আসবেন। যেসব সাংবাদিকদের গত ১০ বছর ধরে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড রয়েছে ও যাদের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সাংবাদিকতা থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন তারাই এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা মাসিক ১০ হাজার টাকা পেনশন পাবেন।
অন্যদিকে, যদি কোনও অ্যাক্রেডিটেড সাংবাদিক কর্মরত অবস্থায় মারা যান সেই সাংবাদিকের স্ত্রী বা পরিবারের নির্ভরশীল যে কোনও একজন সদস্যও ত্রিপুরা জার্নালিস্ট পরিবার সুরক্ষা পেনশন স্কিমের আওতায় আসবেন। তবে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে মৃত্যুর পূর্বের সাত বছর সাংবাদিকতার কাজে যুক্ত থাকতে হবে এবং সেই সময় কালের জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অ্যাক্রেডিটেশন থাকতে হবে। এই প্রকল্পে মাসিক পেনশন হবে ৫ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিবের সভাপতিত্বে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে আইন দপ্তরের প্রতিনিধি, অর্থ দপ্তরের যুগ্ম সচিব, আগরতলা প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি সহ সংবাদপত্র, বৈদ্যুতিন মাধ্যম ও ওয়েব মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ থাকবেন। কমিটির সদস্য সচিব হয়েছেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা।
উল্লেখ্য, উভয় ক্ষেত্রেই আবেদনকারীর পারিবারিক বার্ষিক আয় ৩ লক্ষ টাকার কম হতে হবে। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, ওয়েব মিডিয়া, মাসিক / সাপ্তাহিক । পাক্ষিক / ম্যাগাজিন ও নিউজ এজেন্সি সহ সব ধরনের মিডিয়ার সাংবাদিকগণ এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট আবেদনপত্রে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তার কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে পাওয়া যাবে।