Hare to Whatsapp
ত্রিপুরাতে প্রতি কুইন্টালে 722 টাকা কম, ত্রিপুরাতে ধানের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য কৃষকদের না দেওয়ায় প্রতিবাদ কৃষক সভার
By Our Correspondent
আগরতলা, জুন ২৯, : কেন্দ্রীয় সরকারের পথ অবলম্বন করে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারও কৃষকদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে। সারা ভারত কৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর এই অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, গত ৮ই জুন ঘটাকরে রাজ্য সরকারের কৃষি মন্ত্রী কৃষকদের কাছ থেকে ন্যুনতম সহায়ক মূল্যে ধান কেনার একটি ঘোষণা দেন। পবিত্র কর জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি বিল আনার পর এই বিল কৃষকদের বিরুদ্ধে মোদী সরকারের যুদ্ধ ঘোষণা বলে সংযুক্ত কিষান মোর্চার অভিযোগ আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কৃষক আন্দোলনে থাকা নেতৃত্ব প্রথম থেকেই বলে এসেছেন এই বিলে যেহেতু ন্যুনতম সহায়ক মূল্যের কোন কথা উল্লেখ নেই সেহেতু কৃষকদের বিরুদ্ধে বুলডজার ব্যবহার করে তাদের চরম ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার ।
পবিত্র কর বলেন, ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ধানের যে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কথা ঘোষণা করেছেন তা কৃষকদের দাবী (ফর্মুলা C2+50%) থেকে বহুদূরে। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষিত ন্যুনতম সহায়ক মূল্য (১৯৪০ টাকা) থেকেও কম। C2+50% ফর্মুলা অনুযায়ী যেখানে ধান সহ সমস্ত খাদ্য শস্যে ন্যুনতম সহায়ক মূল্য করার দাবি কৃষক সমাজের, যাতে প্রতি কুইন্টাল ধানের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য হবার কথা ২৫৯০ টাকা, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ধার্য করেছে প্রতি কুইন্টাল ১৯৪০ টাকা। পবিত্র কর বলেন, আরো এক পা এগিয়ে রাজ্য সরকার ন্যুনতম মূল্য ধার্য করেছেন প্রতি কুইন্টালে ১৮৬৮টাকা। তিনি বলেন, এতে কৃষকরা প্রতি কুইন্টালে ত্রিপুরাতে ৭২২টাকা করে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। একই সাথে ধান সংগ্রহের জন্য যে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন তা অত্যন্ত কম। পূরো জুন মাস জুড়ে এই বোরো ধান সংগ্রহের কাজ করার জন্য সরকারের কাছে তিনি দাবি জানান। বলেন, কৃষকদের গোডাউন বা কোলড স্টোরেজ নেই যে ধান মজুত করে রেখে দেবেন। তাই ধান কেটে সরাসরি বিক্রি করার মানডিতে আনার সময় দিতে পুরো মাস সময়ের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া এই এক সপ্তাহের মধ্যে মাত্র ২৯টি মানডি বা কেন্দ্র থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা অসম্ভব (যদি না আগেই অন্যখান থেকে কেনা হয়ে থাকে) বলে মনে করেন পবিত্র কর। একই সাথে উপজাতি অধ্যুষিত কোনও এলাকায় একটিও সেন্টার করা হয় নি বলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, এতে একটি বিরাট অংশের উপজাতি ও অউপজাতি অংশের গ্রামীন কৃষক সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে কৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।একই সাথে ধানের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য ২৫৯০টাকা প্রতি কুইন্টাল করার জন্য ত্রিপুরা সরকারের কাছে তিনি দাবি জানিয়েছেন।