Hare to Whatsapp
রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান মুখ্যমন্ত্রীর।
By Our Correspondent
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ২০, : রাজ্যের আর্থিক স্থিতিকে আরও জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় স্টেট লেভেল ব্যাংকার্স কমিটি অর্থাৎ এসএলবিসি'র বৈঠক। পৌরোহিত্য করেন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব। রাজ্যকে স্বয়ম্ভর করে তোলার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলিকে আরো জনমুখী হয়ে ওঠার জন্য আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
রাজধানীর প্রজ্ঞাভবনে আজ অনুষ্ঠিত হয় এসএলবিসির বৈঠক। এতে রাজ্যে কৃষকদের স্বাবলম্বী করে তোলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, শিক্ষা ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলিকে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
পরে মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব জানান, রাজ্যের অর্থনীতিকে কিভাবে মজবুত করা যায়, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথমেই যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো সহজ উপায়ে কিষান ক্রেডিট কার্ডের লোন দেওয়ার বিষয়টি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রায় দুই লক্ষ ৪২ হাজার কৃষক এর জন্য আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনগুলি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া, সহজ উপায়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার উপর জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন রবি ও খারিপ ফসল এর ক্ষেত্রে পৃথকভাবে কৃষকদের ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়।
এদিন এছাড়াও মাছ, পশুপালন এগুলি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংকের সহযোগিতা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাঙ্কগুলি যাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন মাছ ডিম এবং পশু পালনের ফলে বহু কোটি টাকা রাজ্যেই থেকে যায়। এতে গোটা রাজ্যের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে মনে করে সরকার। সেই লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার আহ্বান জানানো হয় ব্যাংকগুলোর প্রতি।
এদিন এছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রে ঋণ প্রদানের জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন এ ক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় সফলতা লক্ষ্য করা গেছে। এবার মোট ৫৩০ জনকে এডুকেশন লোন দেয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, যারা লোন নিয়ে পড়াশোনা করছেন তারা অবশ্যই সফল হবেন। এতদিন এডুকেশন লোন প্রদানের ক্ষেত্রে নানা জটিলতার ফলে অনেকেই এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন তা কাটিয়ে উঠছে বলে উল্লেখ করেন শ্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিন এনপিএ কম করার বিষয়েও আলোচনা হয়।
পরিশেষে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, যে সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে এদিন এসএলবিসির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, তা আগামী বছর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। যা ত্রিপুরার আর্থিক স্থিতিকে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।