Hare to Whatsapp
শহরতলী নাগিছড়া জারুলবাচাই-র বিস্তীর্ন অঞ্চলে মানুষ বৈরী ভয়ে আতঙ্কিত, জন ও যান চলাচল বন্ধ প্রায়!
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ২৩, : শহরের অনতিদূরে জারুলবাচাই ও নাগিছড়ার বিস্তীর্ন অঞ্চল জুড়ে সাধারণ মানুষ বৈরী ভয়ে আতঙ্কে জবুথবু হয়ে পড়েছেন। গত ১৮ মে প্রাক সন্ধ্যায় জারুলবাচাই বাজার থেকে ফেরার পথে বেশ ক’জন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের পথ আগলে ওই বৈরী নামধারী দুষ্কৃতীরা সঙ্গের টাকা পয়সা, মোবাইল এমন কি বাজার করে আনা সঙ্গের সমস্ত জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায়। দুষ্কৃতিকারীরা সংখ্যায় চার পাচ জনের মতো ছিল।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই দুষ্কৃতীরা জলপাই রঙ- এর পোশাকে ছিল। সঙ্গে গাদা বন্দুকও ছিল। মুখ কাল কাপড়ে ঢাকা ছিল। তাই সাধারন পথচারী যারা ছিনতাই-এর শিকার হন তারা প্রথমে ভেবেছিল তারা হয়তো টিএসআর এর লোক হবে। কথাও বলছিল হিন্দীতে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, অন্তত ১২ থেকে ১৪ জনের কাছ থেকে টাকা পয়সা, ঘড়ি, মোবাইল ও সঙ্গের যাবতীয় জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ঐদিনের ঘটনার পর থেকে জারুলবাচাই ও নাগিছড়া মুখো হচ্ছেন না আশেপাশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কিংবা সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, জারুলবাচাই ও নাগিছড়ার আশপাশ এলাকায় বেশ কিছু রাবার বাগান, বাঁশ বাগান রয়েছে শহরের বহু মালিকের। আনন্দনগরে থানা ছাড়া বাগান বাড়ীতে একটি টি এস আর ক্যাম্প রয়েছে। কিন্তু করোনার কারনে পুলিশ কিংবা টিএসআর-এর কোন টহলধারী নেই। ফলে টিএসআর সেজে ওই দুষ্কৃতিকারীরা গত বেশ ক’দিন ধরে লাগাতারই এসব ছিনতাই-র ঘটনা চালিয়ে যাচ্ছে। শহর থেকে মাত্র ১২ কিমি দূরত্বে হওয়া সত্বেও রাজধানীর পুলিশ এ ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। উল্টো পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি ঐদিনের ঘটনার পর একবার এলাকা সফরের পর আর ওই এলাকায় যায়নি পুলিশ কিংবা টিএসআর বাহিনী। উদ্ভত অবস্থার প্রেক্ষিতে শহরের অনতিদূরে একটি জনপদ রাজধানী আগরতলা থেকে এক রকম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাবার বাগানে রাবার টেপিং- বন্ধ হয়ে পড়েছে। বাইরের যেসব দোকানীরা ওই সব এলাকার সাপ্তাহিক বাজার হাটে জিনিসপত্র বিক্রির জন্যে যেতো তারাও যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে এলাকায় জিনিসপত্রেরও দাম বেড়ে গেছে। কিন্ত পুলিশ ও অসামরিক প্রশাসন চুপ।