সড়ক নিরাপত্তা ও নেশার কুফল থেকে বাঁচতে হলে গণসচেতনতা প্রয়োজন : মুখ্যমন্ত্ৰী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ১১, : সড়ক নিরাপত্তা, ভোক্তা সুরক্ষা এবং নেশার কুফল থেকে বাঁচতে হলে গণসচেতনতা প্রয়োজন। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এ ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি সত্যিই এক অভিনব উদ্যোগ। তাতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আগ্রহ তৈরির পাশাপাশি এই সমস্ত বিষয়ে সচেতনতাও তৈরি হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ‘জাগৃতি’ কর্মসূচি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আন্তঃকলেজ ক্যুইজ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। খাদ্য দপ্তর ও পরিবহণ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে এই ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি খুবই প্রাসঙ্গিক। ছাত্রছাত্রীরা হচ্ছে আমাদের আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। তাই ছাত্রবস্থা থেকেই তাদের সড়ক নিরাপত্তা, ভোক্তা সুরক্ষা ও নেশার কুফলের বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। ফলে সমাজও সুরক্ষিত থাকবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য এজেন্সি কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের এই অভিযানে সংযুক্ত করতে না পারলে তা সফল হওয়া সম্ভব নয়। বর্তমান সময়ে ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই বিষয়ে ভোক্তাদের বেশি করে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে খাদ্য দপ্তরকে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। জেলা স্তরের ও রাজ্য স্তরে ভোক্তা আদালত থেকে ভোক্তারা যাতে সঠিক পরিষেবা পেতে পারে সে বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। পাশাপাশি ভোক্তা আইন সম্পর্কেও ভোক্তাদের সচেতন করাতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমান সময়ে একটি ভয়াবহ সমস্যা। দুর্ঘটনাজনিত কারণে মানব সম্পদের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যে সমস্ত ট্রাফিক নিয়মাবলী রয়েছে সেগুলি সম্পর্কে বেশি করে প্রচারে নিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের সড়ক সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের নেশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, সড়ক নিরাপত্তা ও ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার উদ্দেশ্যেই জাগৃতি কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে উদয়পুরে এবং কুমারঘাটে কলেজ স্তরের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। আজ আগরতলায় ফাইনাল রাউন্ডের ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আগামীদিনে জাগৃতি কর্মসূচিকে বিদ্যালয় স্তরে নিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।

জাগৃতি কর্মসূচি উপলক্ষ্যে ফাইনাল রাউন্ড ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় ৯টি দল অংশগ্রহণ করেছে। সেগুলি হলো উদয়পুরের নেতাজী সুভাষ মহাবিদ্যালয়, গোমতী ডিস্ট্রিক্ট পলিটেকনিক, বিলোনীয়ার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়, কুমারঘাটের কলেজ অব টিচার্স এডুকেশন, ধর্মনগরের আর্যভট্ট ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়, লংতরাইভ্যালি সরকারি মহাবিদ্যালয়, ভেটেরিনারি কলেজ, আগরতলার বীরবিক্রম মেমোরিয়াল কলেজ এবং এনআইটি আগরতলা। ফাইনাল রাউন্ড ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে উদয়পুরের নেতাজী সুভাষ মহাবিদ্যালয়ের শ্রেয়া মোদক ও শুভজিৎ চৌধুরী। এছাড়া দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে কুমারঘাটের কলেজ অব টিচার্স এডুকেশনের নিশান বিশ্বাস ও জয়দীপ মজুমদার এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে ভেটেরিনারি কলেজের সৌভিক ভৌমিক ও বিশাল দেবনাথ। তাদেরকে অতিথিগণ পুরস্কার তুলে দেন। ক্যুইজ প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করেন স্কুল অব সায়েন্সের কর্ণধার অভিজিৎ ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.