Hare to Whatsapp
করোনা কার্ফুর মধ্যে রাজ্যজুড়ে ক্যাবল টিভি-র সম্প্রচার বন্ধের সিদান্তকে অমানবিক বললো সিপিএম
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ১৬, : ১৫ মে সন্ধ্যা থেকে রাজ্যের বৃহত্তম টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ‘হাথওয়ে - এর ক্যাবল নেট ওয়ার্ক কনট্রোল রুম আচমকা বন্ধ করে দেবার রাজ্য সরকারের জি এস টি এনফোর্সমেন্ট শাখার সিদ্ধান্তকে ঘৃণ্য, অমানবিক ও অগণতান্ত্রিক বললো সিপিএম। এবং রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সি পি আই (এম) ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমন্ডলী।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জি এস টি এনফোর্সমেন্ট শাখার কর্মকর্তারা বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা নাগাদ কারফিউ চলাকালে আগরতলা শহরের রামনগরের এক নম্বর সড়কে অবস্থিত টেলিভিশন নেটওয়ার্কটির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। ফলে রাজ্যের বেশ কয়েক লক্ষ দর্শক ও শ্রোতা তথ্য জানার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হলেন। মারন কভিড সংক্রমণে যখন রাজ্যের, সমগ্র দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কোটি কোটি মানুষ সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত এবং জীবন-মৃত্যুর লড়াই রত, তখনি রাজ্য সরকারের জি এস টি শাখা টেলিভিশন সম্প্রচার সংস্থাটির যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে যায় যা অবিমৃশ্যকারী বলে মনে করে সিপিএম।
সিপিএম- এর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মানুষ যখন প্রতিটি মুহুৰ্ত্ত তথ্য জানার জন্য উদগ্রীব, রাজ্য সরকার এ সময়টি টেলিভিশন নেটওয়ার্কটি বন্ধ করে দিয়েছে, যা সম্পূর্ণ অমানবিক। আইন লঙ্ঘন করলে কোন সংস্থার বিরুদ্ধে সরকার আইন অনুযায়ী আদালতে যেতে পারে। কিন্তু জনগণকে তথ্য জানার অধিকার থেকে এক মুহুর্তও বঞ্চিত করতে পারে না। রাজধানী আগরতলার ৮০ শতাংশের বেশী অধিবাসী, রাজ্যের অন্যান্য মহকুমার কয়েক লক্ষ মানুষ হাথওয়ে ক্যাবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রাজ্যের, দেশ-বিদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলাের খবর ও অন্যান্য প্রােগ্রাম দেখেন এবং শােনেন। রাজ্যের বি জে পি-আই পি এফ টি জোট সরকার ক্ষমতার অপপ্রয়ােগ করে সম্পূর্ণ অন্যায় করেছে, যা ১৯৭৫’র অভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থার কালাে অধ্যায়ের চেয়েও খারাপ বলে জানিয়েছে সিপিএম। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমন্ডলী টেলিভিশন সংস্থাটির সম্প্রচার ব্যবস্থা চালুর জন্য এখনি সমস্ত যন্ত্রপাতি ফিরিয়ে দিতে দাবি জানিয়েছে।