Hare to Whatsapp
আগরতলা পুর নিগম এলাকায় করোনা কারফিউ ছাড়া আরও তিন পুর পরিষদ ও তিন নগর পঞ্চায়েত এলাকাকে সম্পুর্ন কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষনা
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ১৬, : করোনা মোকাবিলায় ধীরে ধীরে কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। গতকাল সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছিল আগরতলা পুর এলাকাতে করোনা কারফিউ চালু করা হবে। যাতে কেউই রাজ্য থেকে বের না হতে পারে। এই অনুযায়ী আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী রতন লাল নাথ পুর এলাকায় কারফিউ জারি করার কথা বলেন। এর নাম দেওয়া হয় কারোনা কারফিউ। যদিও সি আর পি সি, আই পি সি, কিংবা সি আর পি সি’র ১৪৪ ধারা কোন ক্ষেত্রেই করোনা কারফিউ বলে কারফিউ’র কোন ধারা নেই।
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে রতন লাল নাথ রাজধানী শহরে করোনা কারফিউ’র পাশাপাশি শহরতলী নাগিছড়া ও শালবাগানস্থিত বিএসএফ পাড়াকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষনা করেছেন।
এছাড়া কৈলাশহর, উদয়পুর বিশালগড় পুর এলাকা ও রানীর বাজার, পানিসাগর ও অমরপুর নগর পঞ্চায়েত এলাকাকে পুরোপুরি কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। মন্ত্রীর মতে যেভাবে করোনার সংক্রমন বাড়ছে তা মোকাবিলা করার আর কোন উপায় ছিলনা। এখনও যদি মানুষ সতর্ক না হন তাহলে রাজ্য সরকারকে রাজ্যজূড়ে কারফিউ’র মতো কঠোর বিধিনিষেধ জারী করা ছাড়া পথ থাকবে না। তাই বিশেষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘর থেকে বের না হন আজও তিনি বিশেষ ভাবে অনুরোধ রাখেন।
পক্ষান্তরে, মন্ত্রী শ্রীনাথ করোনা কারফিউ কালে সাধারন মানুষের সাথে ওষুধপত্র, খাবার দাবারের কোন অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ওষুধ, ফল-সব্জি, মোদি দোকান সকাল পাচটা থেকে সন্ধ্যা পাচটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে বলেও জানান।
পাশাপাশি হোটেল রেস্তুরা থেকে খাবারের হোম ও প্যাকেট ডেলিভারী জারী থাকবে বলেও তিনি জানান। তাছাড়া মিডিয়ার লোকজন সহ জরুরী সব পরিষেবার সাথে যুক্ত লোকজনই চলাফেরার ছাড় পাবেন বলে তিনি জানান।