Hare to Whatsapp
কোভিডের অস্হির পরিস্হিতিতে পাহাড়ে বিজেপি, আইপিএফটি, তিপ্রামথার লড়াই, মানুষ অসহায়, সাংবাদিক সন্মেলনে বললেন জীতেন, পবিত্র ও শংঙ্কর দত্ত
By Our Correspondent
আগরতলা, মে ১৪, : রাজ্যে কোভিড জনিত অস্হির পরিস্থিতিতে পাহাড়ে বিজেপি, আইপিএফটি ও তিপ্রা মথার লড়াই নিয়ে গভীর উদ্বগ প্কাশ করেছেন বাম নেতৃত্ব। অনতি বিলম্বে পাহাড়ে শান্তি বহাল সহ কোভিডের কারনে অর্থ নৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া গরীব অংশের মানুষকে সাহায্যের আর্জি নিয়ে আজ রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি দিলেন চার বাম গন সংগঠন। পরে এই চার গন সংগঠনের আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই চিঠি দেবার কথা জানান সারা ভারত কৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক পবিত্র কর, জীতেন চৌধুরী ও শংঙ্কর দত্ত।
শ্রী কর সেই চিঠিতে যে নয় দফা দাবি পেশ করা হয়েছে সেগুলি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বলেন, সকলের জন্য সরকারি খরচে প্রতিসেধক প্রদান, আয়কর প্রদান করেননা এমন গরীব অংশের মানুষের জন্য যতদিন কোভিড অবস্থার উন্নতি না হয় ততদিন মাথা পিছু মাসে দশ কেজি চাল ও ৭৫০০ টাকা প্রদান, রেগার বাইরে গিয়ে গ্রাম শহর ও শহরতলীতে পরিবার পিছু দশ দিনের কর্ম সংস্থান সৃষ্টি, রাজ্যের বাইরে যে সমস্ত ত্রিপুরার শ্রমিক রয়েছেন এবং এই রাজ্যে যে সমস্ত বহিরাগত শ্রমিক রয়েছেন তাদের ঠিকানা, ফোন নম্বর জোগাড় করে একটি হেল্প ডেস্ক তৈরি করা, বিভিন্ন জেলা সদর ও প্রত্যন্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সহ কভিড চিকিৎসা কেন্দ্র করা, ডাক্তার সহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীর বিনা পয়সায় চিকিৎসা, জুমিয়া পরিবার গুলিকে বীজ ও খোরাকির টাকা প্রদান করতে দাবী জানিয়ে আসা হয়েছে মুখ্য সচিবের কাছে।
শ্রী কর আরও বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের সংকট চলছে। জলের সমস্ত উৎস সংস্কার করতে তিনি মুখ্য সচিবকে বলা হয়েছে বলে জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে গন মুক্তি পরিষদের সভাপতি জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ভয়াবহ কভিড পরিস্থিতিতে এডিসি এলাকায় জনগণের টাকার ব্যাপক লুটতরাজ চলছে। ভিলেজ কাউন্সিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বিজেপি ও আই পিএফটি জোটের লোকেরা জোর করে অফিস দখল করে সরকারি অর্থ লুট করছে। এই নিয়ে নিয়মিত তিপরা মথা ও বিজেপি জোটের মধ্যে মারপিট চলছে। মানুষ আতঙ্কিত। এই লড়াই বন্ধ হওয়া উচিৎ বলে জীতেন্দ্র চৌধুরী দাবি করেন।
কোভিড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ মরছে আর নিরো বাঁশি বাজাচ্ছেন। এই মহামারী মোকাবিলায় সরকার কিছুই করেনি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সি আই টি ইউ রাজ্যে সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর দত্ত বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সরকার উদাসীন। অথচ কর্পোরেটদের সরকার ৬৪০০০কোটি টাকা ছাড় দিয়েছেন। একই সাথে ভেকসিনের জন্য বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচ করেননি। রাজ্যের পরিস্থিতি উল্লেখ করে কৃষক নেতা পবিত্র কর বলেন, রাজ্যের অবস্থা ভয়াবহ। সরকার মানুষের প্রয়োজনে যেটা করার সেটা করছেননা। সিদ্ধান্ত হীনতায় ভূগছে সরকার। লক ডাউন প্রসঙ্গে পবিত্র কর বলেন এটা সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। মানুষের ভালোর জন্য তারা সিদ্ধান্ত নিন। সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদকও দাবির প্রতি সহমত পোষণ করে বক্তব্য রাখেন।