Hare to Whatsapp
ত্রিপুরাতে এখনও মাস্কের যথাযথ ব্যবহার শুরু হয়নি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা অর্পণ সোসাইটি
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ৩০, : আগরতলায় মাস্ক ব্যবহারের অভ্যেস গত একবছরে জনগণের মধ্যে কেমন গড়ে উঠেছে এনিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর জনবহুল সাতটি স্থানে সমীক্ষা চালায় অর্পন নামে বেসরকারী একটি সংস্থা। সমীক্ষার নির্যাস সহ ছ'টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পাঠানো হয় স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব জে, কে, সিনহা, পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক ডাঃ শৈলেশ যাদব ও জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন'র অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ শিব যশোয়ালের কাছে।
অর্পনের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৯২ শতাংশ শহরবাসী মুখে মাস্ক ব্যবহার করলেও, এদের মধ্যে মাত্র ২৭ শতাংশই ঠিকঠাক অর্থাৎ নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরছেন। ৪৩ শতাংশ মানুষ শুধু মুখ ঢেকে জনবহুল জায়গায় ঘোরাফেরা করছেন এবং বাকি ৩০ শতাংশ মানুষ মুখের নীচে মাস্ক ঝুলিয়ে চলাফেরা করছেন যা আইনের চোখ ফাঁকি দিতে সাহায্য করে। কিন্তু করোনা প্রতিরোধে কাজে আসে না।
বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে, "যথাযথভাবে মাস্ক না পরা, মাস্ক ছাড়া চলার সামান। এক্ষেত্রে, কঠোর আইন প্রয়োগ জরুরি।" সার্বিক ভাবে পুরুষদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস ভাল। তবে, মহিলারা এক্ষেত্রে কিছুটা উদাসীন। তবে, বাজার এলাকায় মাস্ক ব্যবহার না করার প্রবনতা বেশি দেখা গেছে। দুই সপ্তাহ ধরে শহর আগরতলার জনবহুল স্থান গুলিতে নিরক্ষন পদ্ধতিতে এই সমীক্ষা করা হয়। মুলত করোনা অতিমারির আবহে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোভিড স্বাস্থ্য বিধির ব্যবহারিক প্রয়োগ কিরকম তা জানতেই এই সমীক্ষা চলে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে করোনা প্রতিরোধে নাক মুখ ঢেকে রাখা গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষাবিধি। তাছাড়া নিয়মিত হাত পরিস্কার রাখা, হাঁচি ও কাশির সময় যথেষ্ঠ সাবধানতা মানা এবং ভীড় এড়িয়ে চলার অভ্যেস সহ সাধারণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার উপর আরও গুরুত্ব দিতে রিপোর্টে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, রাজ্য জুড়ে সর্বত্র এলাকা ভিত্তিক বাড়ি বাড়ি সঠিক মাস্ক ব্যবহার বিষয়ক প্রচারাভিযানের জন্য ক্লাব, সমস্ত ধরনের সামাজিক ও বেসরকারি সংস্থা গুলিকে কাজে লাগানো এবং অন্তত দুই সপ্তাহ বিমানবন্দর ও আন্তঃরাজ্য রেল পরিষেবা বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে, রিপোর্টটিতে লকডাউনের বিরোধিতা করা হয়েছে।