Hare to Whatsapp
বিজেপি কতৃক আইপিএফটি-র দুই কর্মীকে আক্রমনের জেরে উত্তেজনা ঋষ্যমুখ এলাকায়
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ২৭, : ঋষ্যমুখ পঞ্চায়েতের শাসকদল বিজেপির উপপ্রধান দেবব্রত সরকার সহ ঋষ্যমুখ মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি রাজীব বৈদ্য, জীবন বৈষ্ণব, অনিল সরকারের নেতৃত্বে আইপিএফটি-র দুই কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আইপিএফটির পক্ষ থেকে অভিযোগ, এই আক্রমনের ঘটনায় আইপিএফটি কর্মীসমর্থকরা ক্ষুব্দ হয়ে দা লাঠিসোঁটা নিয়ে ঋষ্যমুখের দিকে আসার প্রস্তুতি নিতেই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সহ বিশাল টিএস আর বাহিনী ছুটে গিয়ে ক্ষুব্ধ আইপিএফটি কর্মীসমর্থকদের বাঁধা দেয়। পুলিশের সামনেই দা লাঠিসোঁটা নিয়ে ছুটাছুটি করতে থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বাহিনীকে বেগ পেতে হয়। ঘটনার খবর পেয়ে বিলোনিয়ার দুই সাংবাদিক সুমন নাগ ও সুমন দত্ত ঘটনা ক্যামেরা বন্দি করার সময় উত্তেজিত আইপিএফটি কর্মীসমর্থকরা হঠাৎ আক্রমণ করে বসে দুই সাংবাদিকের উপর । পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করে এক সময় সুমন দত্ত গুপ্তের উপর দৈহিক আক্রমনও চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনা স্থল থেকে একটু দূরে সরে যায় এই দুই সাংবাদিক ।
ঘটনার সুত্রপাত গত ২১ শে এপ্রিল থেকে । এডিসি নির্বাচনের সময় আইপিএফটির কর্মী ধনীরাম ত্রিপুরা বিজেপি-র একজনকে মারধোর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-র ওই নেতারা ধনরাম -এর উপর দৈহিক আক্রমন করে ঋষ্যমুখ বাজারে।
এরপরই শুরু হয় চাপা উত্তেজনা । মঙ্গলবারে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
আইপিএফটি কর্মী বিক্রম ত্রিপুরাকেও আক্রমন করার অভিযোগ উঠেছে। ঋষ্যমুখ বাজারে আসার পর ঋষ্যমুখ পঞ্চায়েতের শাসকদল বিজেপির উপপ্রধান দেবব্রত সরকার সহ ঋষ্যমুখ মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি রাজীব বৈদ্য, জীবন বৈষ্ণব, সুনিল সরকারের নেতৃত্বে এই হামলার অভিযোগ উঠে । আক্রান্ত বিক্রম ত্রিপুরা নিজেকে বাঁচিয়ে কোন মতে ধনঞ্জয় নগর এডিসি ভিলেজের মালুরাম বাড়ি এলাকা ছুটে যায় এবং এটা জানাজানি হতেই ধনঞ্জয় নগর এডিসি ভিলেজ এলাকা থেকে আইপিএফটি কর্মীসমর্থকরা জড়ো হয়ে ঋষ্যমুখের দিকে আসতেই , ঋষ্যমুখ জোলাইবাড়ি রাস্তার শ্যামলী বাজার এলাকায় পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী তাদের গতি রোধ করে। পুলিশ গতিরোধ করতেই উত্তিজিত আইপিএফটি কর্মীসমর্থকরা শ্যামলীবাজার রাস্তা অবরোধ করে রাখে । তাদের দাবি আক্রমনকারী দের আটক করে শাস্তি প্রদান করতে হবে । পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী থাকলেও প্রতিরোধ করতে পারছিল না । অবশেষে দক্ষিন জেলার পুলিশ সুপার রনধীর দেববর্মা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে আশ্বস্ত করে দোষীদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আটক করবে এবং কিছু দিনের মধ্যে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হবে এই আশ্বাস পেয়ে আইপিএফটি কর্মীসমর্থকরা অবরোধ উঠিয়ে নেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।