Hare to Whatsapp
ত্রিপুরা সরকারের করোনা মোকাবিলা পদ্ধতির সমালোচনা, অবিলম্বে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবী জানালো সিপিআই এম
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ১৫, : ত্রিপুরা সরকারের করোনা মোকাবিলা পদ্ধতির আজ তীব্র সমালোচনা করেছে বিধানসভার সি পি আই (এম) পরিষদীয় দল। দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সারা দেশের সাথে ত্রিপুরায়ও করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার তীব্রতা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারী পরিসংখ্যানেই রয়েছে রাজ্যের সব জেলাতেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ পরীক্ষা করা, করোনা আক্রান্তদের খুঁজে বের করা এবং চিকিৎসা করার হার প্রায় নেই বললেই চলে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর উপযুক্ত কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করছে না। সারা রাজ্যের মানুষই ভীত, উদ্বিগ্ন ও অনিশ্চিত এক অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর বিদ্যালয় সমূহ খােলা রেখে দেবার ফলে এবং পরীক্ষা সূচীতে কোন পরিবর্তন না করার ফলে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী এবং হাজার হাজার শিক্ষকমন্ডলী মারাত্মক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ করোনা পরিস্থিতির সম্মুখীন।
বিশেষ ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকগণ এবং শিক্ষকমন্ডলী অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। কারণ, দৈনিক আক্রান্তের
নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গত ৪৮ ঘন্টাতেই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছে ১০০ জনের বেশি। তুলনামূলক ভাবে সুস্থ হওয়ার হার কমছে। বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন, এ ছাড়া সরকারের কোন বক্তব্য নেই। সংক্রমণের লাগাম টানার কোন প্রশাসনিক উদ্যোগ নেই। সচেতনতা বৃদ্ধির কোন পরিকল্পিত উদ্যোগ নেই। সব মানুষকে টিকা দেবার ব্যবস্থা নেই। আর যারা টিকা গ্রহণ করেছেন তাদেরও যে স্বাস্থ্যবিধি মানা আবশ্যক, তাও সঠিক ভাবে দেখা হচ্ছে না। রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের একমাত্র ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল, জি বি হাসপাতালের অব্যবস্থা সামনে আসতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে হাট, বাজার, অফিস আদালত, ব্যাঙ্ক, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সবই খোলা রয়েছে, খোলা রয়েছে রেল, বিমান সহ অন্যান্য যাত্রী পরিষেবা। ফলে গ্রাম শহর পাহাড় সর্বত্রই করোনার ঝুঁকি বিপদজনক ভাবে বেড়ে চলেছে।
এই পরিস্থিতিতে বাম পরিষদীয় দলের বিবৃতিতে দাবী করা হয়েছে,
প্রথমত, অবিলম্বে সমস্ত বিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।
ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের জীবন নিয়ে কোন ঝুঁকি নেওয়া চলবে না।।
এই সময়ে যে সমস্ত বিদ্যালয়ে পরীক্ষাসূচী রয়েছে, পদের পরীক্ষা সহ,সবই আপাতত স্থগিত রাখতে হবে।
করোনায় সংক্রামিত রোগী খুঁজে বের করার জন্য দ্রুত সরকারী উদ্যোগে ব্যাপকভাবে যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
সরকারী খরচে সকলের জন্য অবিলম্বে টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
করোনা সংক্রামিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের জেলা ও মহকুমা হাসপাতালে প্রয়োজনীয় কার্যকরি সরকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যান্য রোগীদের সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানে যাতে কোন ভাবেই অবহেলা দেখানো না হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে।