Hare to Whatsapp
গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবাকে মজবুত করতে নতুন সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেঃ মুখ্যমন্ত্রী।
By Our Correspondent
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ১৬, : রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে ঢেলে সাজানোর জন্য বর্তমান সরকার নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুধুমাত্র শহরাঞ্চলেরই নয়, গ্রাম - পাহাড়ের মানুষরাও যাতে যথাযথ স্বাস্থ্য পরিষেবা পায়, তার উপর জোড় দিয়েছে এবং তাতে সফলতাও এসেছে। রবিবার আগরতলার রামঠাকুর সংঘ আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব এই কথা তুলে ধরেন।
গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করার ক্ষেত্রে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাজধানী আগরতলায় কর্মরত ৫০ জন আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যথিক চিকিৎসকদের বিভিন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজন অন্ততপক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু পেতে পারেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১১০ জন চিকিৎসক নিয়োগ করেছে, পিজি কোর্সে এবং এমবিবিএস কোর্সে আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, বিভিন্ন মহকুমায় অপারেশন থিয়েটার ও ব্লাড ব্যাংক তৈরি করা হয়েছে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই বিষয়গুলি উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, ইউরোপের মত দেশ যেখানে জনসংখ্যা কম সেখানে সাস্থ্য ক্ষেত্রে বীমার সুযোগ করেছে সরকার। কিন্তু ভারতের মতো একটি জনবহুল দেশ, যেখানে জনসংখ্যা ১৩০ কোটি, সেখানে সরকারি ভাবে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি সেই কাজ করে দেখিয়েছেন।
২০২০ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ২০ লক্ষ ৫৬ হাজার আয়ুষ্মান ই - কার্ড প্রদান করার লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে রাজ্য সরকারের। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯ লক্ষ আয়ুষ্মান ই - কার্ড প্রদান করা হয়েছে। তাতে ৪৬ হাজারের কাছাকাছি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। আগামী দেড় মাসের মধ্যে বাকি কার্ডগুলিও মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া 'আয়ুষ্মান ত্রিপুরা ' প্রকল্প চালু করে, তৎকালীন সময়ে রাজনৈতিক কারণে এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত ৮৬ হাজার পরিবারকে ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ই - কার্ড প্রদানেরও ব্যবস্থা করতে চলছে বর্তমান রাজ্য সরকার। এই তথ্যও ফের উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন বাজেটে উঠে আসা এসপিরেশনাল ডিস্ট্রিক্ট গুলির মধ্যে জেলা হাসপাতাল তৈরির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সকারের সহায়তা করার বিষয়টিও তার বক্তব্যে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধলাই জেলায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। এসপিরেশনাল ডিস্ট্রিক্ট ধলাই জেলাতেও কেন্দ্রীয় সরকরের সহায়তায় জেলা হাসপাতল তৈরি করা হবে।
গোটা ধলাই জেলায় পূর্বে ম্যালেরিয়ায় বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে এক নতুন দিশার সৃষ্টি হয়েছে।বর্তমানে ত্রিপুরা ম্যালেরিয়া দমনের একেবারে অন্তিম পর্যায়ে আছে এবং ম্যালেরিয়া একেবারে দমনের কাজ করছে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই সেবামূলক মানসিকতা নিয়ে কাজ করেন এবং ভবিষ্যতেও একই মানসিকতা নিয়ে পারদর্শিতার সাথে কাজ করবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিনের এই স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ শ্রী রেবতী মোহন দাস সহ অন্যান্যরা।