Hare to Whatsapp
এডিসি এলাকায় নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস, বহু জায়গায় হামলা ভাংচুর, ছামনুতে শূন্যে গুলি
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ১১, : ত্রিপুরা এ ডি সি’র ভোট গণনার পর তিপ্রা প্রধান শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরও বহু জায়গা থেকে হিংসাত্মক ঘটনার খবর আসছে। গতকাল ফল বেরোনোর পরই সন্ত্রাস শুরু হয়ে যায়। এ ডি সিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করা তিপ্ৰা মথা দলের কর্মীদের হাতে মার খাচ্ছেন শাসক বি জে পি-আই পি এফ টি দলের কর্মীরাও। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দুই দলের বহু অফিসবাড়ি। শনিবার সন্ধ্যায় দলের লোকজনদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হলেন বি জে পি দলের নেতারা। রাজ্যে শান্তির পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখতে রাজ্যের আটটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলাশাসকরা। এদিন সকালে শান্তিরবাজার মহকুমা শাসকের অফিসের ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে বি জে পি দলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হন সি পি আই দলের শান্তিরবাজার মহকুমা সম্পাদক, প্রবীণ নাগরিক গোপীনাথ পাল। গোপীনাথবাবুকে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রকাশ্যে। আহত গোপীনাথবাবুর চিকিৎসা চলছে শান্তিরবাজার দক্ষিন জেলা হাসপাতালে। ভোট গণনার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে কাঞ্চনপুরে আক্রান্ত হয়েছে এক গণনা কর্মী। পেশায় শিক্ষক অলিভার দেবনাথ ভোট গণনা শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কালীবাড়ির সামনে বি জেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হন বলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকা শিক্ষককে পথচারীরা দেখতে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আহত গণনা কর্মীকে দেখে আসেন কাঞ্চনপুরের মহকুমা শাসক।
জানাগেছে হামলাকারী প্রনঞ্জয় বড়ুয়া বি জে পি’র প্রার্থী শৈলেন্দ্র নাথের অত্যন্ত স্নেহধন্য। এই কারণে হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করতে সাহস পাচ্ছেন না কান্ঞ্চনপুরের পুলিশ।
এদিকে, গতকাল বিকালে ছামনুবাজারে তিপ্রা মথা ও আই পিএফটি-র গোলমাল আটকাতে পুলিশকে গুলী পর্যন্ত ছুটতে হয়েছে।
এদিকে বিকেলে গণনার ফল বের হতেই জোলাইবাড়ি বিধানসভার কোয়াইফাং, বলিবাড়ি ও ঋষ্যমুখ বিধানসভার রতনপুরের বি জে পি অফিস সহ বহু শাসক দলের অফিস গুড়িয়ে দিয়েছেন তিপ্ৰা মথা দলের কর্মীরা। কোয়াইফাংয়ের আই পি এফ টি অফিসটিও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আই পি এফ টি দলের সভাপতিমন্ত্রী এন সি দেববর্মা এক বিবৃতিতে এ ডি সি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিজয়ী প্রার্থীদের আই পি এফ টি’র পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই এ ডি সি’র কোনও কোনও এলাকায় বিশেষত খোয়াই, পশ্চিম ত্রিপুরা ও সিপাহীজলা জেলায় সমাজদ্রোহীরা সন্ত্রাস চালাচ্ছে। রাজ্যে শান্তির পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখতে সব রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আবেদন জানান তিনি রাজ্য সরকার ও নবগঠিত জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ ডি সি এলাকায় নিবিড় উন্নয়নের কার্যক্রম আরও তরান্বিত করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।