Hare to Whatsapp
বিজেপি ছাড়া চার দলের ১৭৮ এডিসি বুথে পুনঃ ভোটের দাবীর সব গুলিই অগ্রাহ্য হলো রাজ্য নির্বাচন কমিশনে, গণনা ১০ এপ্রিল
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ৮, : বিজেপি ছাড়া সব দলই পুনঃ ভোটের দাবী তোলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে একাধিক অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন। কংগ্রেস কুড়িটি আসনে, সিপিএম ৬৫টি, আইপিএফটি ২৩ টি ও তিপ্রা মথা গতকাল ৭০টি বুথে পুনঃ ভোট চেয়েছে বলে সাংবাদিক সন্মেলনে জানান তিপ্রা মথা প্রধান প্রদ্যোৎ দেববর্মন। অর্থাৎ চারটি প্রধান রাজনৈতিক দল এডিসি ভোটে ১২৪৪টি বুথের মধ্যে মোট ১৭৮টি বুথে পুনঃ ভোট চেয়ে আবেদন করেছে নির্বাচন কমিশনে। কিন্তু আজ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কমিশন একটি ক্ষেত্রেও পুনঃ ভোটের একটি আর্জিও গ্রহন করেনি। বা কোথাও পুনঃ ভোট হবে বলে ঘোষণা দেননি। আগামী ১০ এপ্রিল হচ্ছে ভোট গণনা।
অভিযোগ উঠেছে, শাসক দলের হুক্কায় তামাক খাচ্ছেন পাঁচ বারের পুনঃ নিযুক্তি প্রাপ্ত রাজ্য সরকারের প্রাক্তন আই এ এস অফিসার তথা বর্তমানে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এম এল দে। কংগ্রেস, সিপিএম, আইপিএফটি এবং তিপ্রা মথার তরফে এল দে-র এই ধরনের এক পক্ষীয় মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ বিশ্বাস বলেছেন, একজন দায় দায়িত্বহীন বেসরকারী লোককে এভাবে রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের দায়িত্বে নিয়ে আসাগনতন্ত্রের পক্ষে কোন ভাবেই কাম্য নয়। কেননা, শ্রী দে-র কোন প্রসাসনিক ‘কমিট্মেন্ট’ বা ‘দায়িত্ব’ নেই। তার অন্যায় অবিচারের বিচার করারও কেউ নেই। এই অবস্থায় নিজের চাকুরীর লোভে তিনি শাসক দলের কিড়নক হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আর তা না হলে ১৭৮টি বুথে পুনঃ বুথের দাবীর মুখে একটি আসনেও তিনি কিভাবে পুনঃ ভোট গ্রহনের নির্দেশ না দিয়ে থাকতে পারলেন? কেননা, ২২টি ক্ষেত্রে ইভিএম-এ গোলযোগের রিপোর্ট সহ একাধিক বুথে পুনঃ ভোট করার সুপারিশ সহ আরও-দের কাছ থেকেও রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু শ্রী দে আরও-দের সব সুপারিশই অগ্রাহ্য করেছেন বলে অভিযোগ। ইতিপূর্বে গত লোকসভা ভোটে চার শতাধিক বুথে পুনঃ ভোটের আদেশ দেওয়ার প্রেক্ষিতে ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপি-র দেশ জুড়ে যে বদনাম হয়েছিল এবারও যাতে একই রকমভাবে শাসকদল বিজেপি ও এ রাজ্যের বদনাম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নাকি রাজ্য নির্বাচন দপ্তর শাসক দলের কথায় রাজ্যের মুখ রক্ষায় কোথাও কোন পুনঃ ভোট করতে নারাজ।