Hare to Whatsapp
বিলোনীযায় আক্রান্ত বিরোধী দলের উপদলীয় নেতা বাদল চৌধুরী সহ সিপিআইএম বেশ কজন নেতৃত্ব
By Our Correspondent
আগরতলা, মার্চ ৩, : শহীদ ধনঞ্জয় ত্রিপুরার শহীদ দিবস পালন করতে গেলে বিলোনিয়ার ঋষ্যমুখ ব্লকের মনিরামপুরে বাদল চৌধুরী সহ বেশ কজন আক্রমণের ঘটনা ঘটে । ভাঙ্গচুর করা হয় দুটি গাড়ি । ছোঁড়া হয় ইট । মাথায় আঘাত লাগে বাদল চৌধুরীর । চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় বিলোনিয়া হাসপাতলে । হাসপাতালের চিকিৎসক বাদল চৌধুরীরকে আগরতলা জিবি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেয় ।
অভিযোগ শাসক দলের বিজেপি আশ্রিত বাইক বাহিনীরা এই আক্রমন সংগঠিত করে । জানানো হয় দক্ষিন জেলার পুলিশ সুপার কে । পুলিশ থাকার পরেও এই ধরনের ঘটনায়, পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠেছে । এই ধরনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেছে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী।
জানাগেছে, আজ ছিল ধনঞ্জয় ত্রিপুরার ৪৬ তম শহীদান দিবস । এই দিবসের মূল কর্মসূচি ছিল সাচিরাম বাড়ির শহীদ ধনঞ্জয় পার্কে । সাচিরাম বাড়িতে যাওয়ার আগে শহীদ ধনঞ্জয় ত্রিপুরার জন্মস্থান মনিরামপুর বাজার সংলগ্ন এলাকার শহীদ ধনঞ্জয় ত্রিপুরার আবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করার পর বাজার সেডের মধ্যে বসে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট মানুষের সাথে আলাপ আলোচনার সময় হঠাৎ একদল দুস্কৃতিকারী বাজার সেডের মধ্যে ইট , লাঠিসোঁটা নিয়ে ঢুকে আক্রমন শুরু করে । ইট পাটকেল ছোঁড়ার সাথে সাথে লাঠি দিয়েও আক্রমন করে । এই আক্রমনের ফলে আহত হয় বিরোধী দলের উপদলীয় নেতা বাদল চৌধুরী ও উনার দুই পিজি সহ পাটির জেলা সম্পাদক বাসুদেব মজুমদার, পাটির মহকুমা সম্পাদক তাপস দত্ত , পাটির জেলা কমিটির সদস্য ত্রিলোকেশ সিনহা , আশিষ দত্ত । অভিযোগ, পুলিশের সামনেই চলে এই আক্রমন । পুলিশের নীরব দর্শকের ভূমিকা থাকার ফলে বিরোধী দলের উপদলীয় নেতা বাদল চৌধুরীর মাথায় আঘাত লাগে । কোন মতে বাদল চৌধুরী পিজি ও এসকর্ট সহ পুলিশের সহযোগিতায় ভাঙ্গচুর করা গাড়ি নিয়ে আসে দক্ষিণ জেলার পুলিশ কার্যালয়ে । আহত অবস্থায় বিরোধী দলের উপদলীয় নেতা বাদল চৌধুরী সহ পার্টির জেলা কমিটির সম্পাদক বাসুদেব মজুমদার , পাটির মহাকুমা সম্পাদক তাপস দত্ত দক্ষিণ জেলা পুলিশ সুপারের কক্ষে গিয়ে সাক্ষাৎ করে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন ।
দক্ষিণ জেলার পুলিশ সুপারের সাথে অভিযোগ করার পর সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলের উপদলীয় নেতা বাদল চৌধুরী ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন , বিজেপি দলটা কেমন ধরনের দল তা , তার সংস্কৃতি থেকেই বুঝা যায় । শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবো, তাও কি আমরা জানাতে পারবো না । এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র, কোন দেশে আছি আমরা ।
পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন পুলিশ যদি প্রথম থেকে হস্তক্ষেপ করত তাহলে এই ঘটনা ঘটত না ।
পাশাপাশি আজকের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঋষ্যমুখ বিজেপি মন্ডল সভাপতি অশেষ বৈদ্য প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বললেন বিজেপির কার্যকর্তা এই ধরনের কাজ করতে পারে না। কারণ আজ হৃষ্যমুখ মন্ডল এর কার্যক্রম ছিল মুহুরীপুর বাজারে সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর যায়য়া নীতি দেব। পাশাপাশি অন্যান্য বিজেপির কার্যকর্তারা উপস্থিত হয়ে রক্তদান করেন এবং দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র দান করছেন।
উনি বলেন ভারতীয় জনতা পার্টি জনগণের পার্টি ভারতীয় জনতা পার্টি কখনো এমন ধরনের কাজ করে না। শুধু ঋষ্যমুখের জনগণ নয় সারা রাজ্যের জনগণ বিগত ২৫ বছরে রোজভ্যালি সহ বিভিন্ন চিপ ফান্ড কোম্পানিতে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে। তারা আজকে যখন সে শোষণকারী নেতৃত্বদের দেখতে পায় তখন তারা অতীতের কথা গুলো মনে পড়ে যে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ গুলি তাদের মারফতে তাদের ইন্ধনে সেখানে লুট হয়েছে। আজকে শুনতে পেয়েছি ঋষ্যমুখের জনজাতির অংশের এবং নন জনজাতি অংশের জনগণ উনাদের কাছে রোজভেলির টাকা চাইতে গিয়েছিল। উনারা তখন সেখানে একটা অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করে সেখান থেকে চলে যায় এবং আমাদের দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং কুৎসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি করছেন ঋষ্যমুখ মন্ডল সভাপতি অশেষ বৈদ্য।