Hare to Whatsapp
রাজ্যের ভূগর্ভস্থ জলে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে চলেছে আয়রন
By Our Correspondent
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ১৪, : রাজ্যের ভূগর্ভস্থ জলে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে চলেছে আয়রন, সেই সাথে বিষাক্ত আর্সেনিক।এ নিয়ে উদ্বিগ্ন জনস্বাস্থ্য ও পানীয় জল সম্পদ দপ্তর। তবে তাঁরা ও এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে চায় না, এরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। কিন্তু এই ধরনের বিপদজনক প্রবনতা জনস্বাস্থ্য র পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। আয়রন ও আর্সেনিক র বিরুপ প্রভাব জনস্বাস্থ্য ক্ষতিকর। বাড়ছে চর্ম, চোখ ও ক্ষয় ,দন্ত রোগ। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরী উদ্যোগ ও সক্রিয় উদ্যোগ। দপ্তর মনে করছে কোনধরনের ঢিলেমি ডেকে আনতে পারে বড়ধরনের বিপর্যয়।
রাজ্যের কুমারঘাট,ছৈলেংটা,আমবাসা,,দশদা,কৈলাশহরের উওরান্চল বাবুবাজার,টিলাবাজার, ইরানি, খোয়াই র আশারাম বাড়ী,বাইজালবাড়ী,বেহালা বাড়ী , কল্যানপুর,তেলিয়ামুড়া, বড়মুড়া, চম্পকনগর,মান্দাই, রাজধানীর দক্ষিণ, উওর অংশে যুগপৎ দাপট রয়েছে আয়রন, আর্সেনিক র। মূলতঃ টিউবওয়েল র জল এই দুই মারনরোগের উৎস।আয়রন রিমুভালের ব্যবস্থা নেই সরকারী, বেসরকারি ভাবে।
রাজধানীর দন্তরোগ,চক্ষু রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রা চোখের ইনফেকশন থেকে রেহাই পেতে রোগীদের আয়রন রিমুভ্যাল প্লান্টের জল ব্যবহার করা র পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দেশের বিখ্যাত চক্ষু হাসপাতাল এল ভি প্রসাদ আই হাসপাতাল।এরাজ্য থেকে যাঁরাই সেখানে যাচ্ছেন সবাইকে এরা জল থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আর্সেনিক এমনিতেই বিষাক্ত। আর্সেনিক র প্রভাবে ছড়া,নদী, কূপের জল দূষিত হয়ে পড়ে। মূলতঃ ছামনু উপত্যকায় এর বিরুপ প্রভাব বেশি ।১৯৮৫ থেকে এই অবস্থা। একবার তো ছামনু উপত্যকায় কলেরা জনিত রোগীর মহামারী রূপ নেয়। পরে মেনিঙগুককাল। প্রচুর প্রাণহানি হয়েছিল তখন।
জলসম্পদ দপ্তর বলছে এরা আয়রন রিমুভ্যাল প্লান্টের কাজ করছে বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু গভীর নলকূপ বসানো দূরহ,টিলাভূমিতে। দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন আয়রন রিমুভ্যাল করা গেলেও আর্সেনিক দূর করা কঠিন।অসম্, ঝাড়খণ্ড, বাংলাদেশ সহ কিছু অঞ্চলে আর্সেনিক র প্রভাব অনেক বেশি।
এ রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় কিন্তু আর্সেনিক বেড়েই চলেছে। আর্সেনিক র প্রকোপ রোধে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে অভিমত।