Hare to Whatsapp
পাচার বাণিজ্যে বাধা দেওয়ায় ফেন্সি মাফিয়ার হাতে আক্রান্ত তিন
By Our Correspondent
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ২৬, : বুধবার সন্ধ্যা রাতে বিলোনিয়া মহকুমার রাজনগর থানাধীন রাঙ্গামুরা এলাকায় ফেন্সি কারবারীদের আক্রমনে তিনজন আহত হয়েছে। উত্তপ্ত হয়ে উঠে গোটা এলাকা । আহতরা বর্তমানে গৌমতি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় রাঙ্গামুরা ভারত-বাংলা সীমান্ত এলাকার মধ্যেই রয়েছে এবাদুল হোসেন এর বসতবাড়ি। গত বেশ কিছুদিন ধরে এবাদুল হোসেনের বাড়ির উপর দিয়ে কিছু পাচারকারী অবৈধভাবে ফেন্সি সহ অবৈধ নেশা সামগ্রী পাচার করছিল বাংলাদেশে । এতে বাড়ির মালিক এবাদুল হোসেন সহ বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা তাদের বাধা দিলে তারা বাড়ির মালিকের কথায় কোনো কর্ণপাতি করেননি। ঠিক এভাবেই কেটে গেল বেশ কয়েকদিন। কিন্তু এ নিয়ে রাজনগর পিআর বাড়ি থানায় এবাদুল হোসেন সহ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বহুবার জানানোর পরও থানা বাবুরা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ । এরপর গতকাল এবাদুল হোসেনের বাড়ির উপর দিয়ে পাচারকারীদের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষেপে উঠে পাচারকারীরা। গতকাল তথা বৃহস্পতিবার রাত্রে পাঁচ জন পাচারকারী এবাদুল হোসেনের বাড়িতে এসে আক্রমণ শুরু করে। পাচারকারীরা লাঠি, রড দিয়ে এবাদুল হোসেন ও তার ভাই আব্দুল হোসেনকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় । চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকেরা আসায় আক্রমন কারীরা পালিয়ে যায় । আহতদের নিয়ে আসা হয় বিলোনিয়া হাসপাতালে । দুই ভাইকে রক্ষা করতে এসে পাচারকারীদের হাতে আক্রান্ত হলেন মীর হোসেন নামে এক যুবক। বিলোনিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানায় ।
গতকাল রাতেই তাদেরকে পরিবারের লোকজন সহ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নিয়ে আসা হয় বিলোনিয়া মহকুমা হাসপাতালে। আজ দুপুর পর্যন্ত তাদের চিকিৎসা চলার পর তাদের অবস্থা বেগতিক হতে দেখে চিকিৎসকরা উদয়পুর গোমতী জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেয়। কুখ্যাত ফেনসিডিল মাফিয়া শহিদ মিয়া, মান্নান মিয়া, খলিল মিয়া, তাজুল ইসলাম- এর বিরুদ্ধে মামলা হয় থানাতে । এর আগেও পিআর বাড়ি থানাতে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে তাদের নামে । পুলিশ ও নেশা পাচারকারীদের সখ্যতার ফলে মামলা রফা হয়ে যায় । বাড়ির উপর দিয়ে নেশাপাচার করছে , নেশাকারবারীরা এই ঘটনা জানিয়ে এবাদুল হোসেনের পক্ষ থেকেও বহুবার জানানোর পরও থানা বাবুরা কোনো ভূমিকায় নেয়নি । যার ফলে গতকাল রাত্রে তাদের হাতেই আক্রান্ত হলেন এলাকার এক নিরীহ পরিবার। এখন দেখার বিষয় পুলিশ প্রশাসন কি নেশাসাম্রাজ্য বিস্তার কারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবে নাকি লাল নোটের কচকচানিতে মামলা রফা হয়ে যাবে তা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন চিহ্ন রয়ে যাচ্ছে ।