Hare to Whatsapp

সরকারের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কমিটি, সার্কুলেশন কমিটি-সহ সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্ত কমিটিতে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস-এর প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করার দাবী

By Our Correspondent

আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ১৯, : সংবাদ মাধ্যমে সরকারী বিজ্ঞাপন বিলি ও সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য অবিলম্বে বন্ধের দাবী তোলেছে এসেম্বলী অব জার্নালিস্ট। ত্রিপুরার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠনের দাবী প্রকৃত ও উপযুক্ত সাংবাদিকদের অবিলম্বে কার্ড ইস্যু এবং নবীকরণ করতে হবে। এতে কর্তাভাজা

স্বার্থান্বেষী চক্রের মাতব্বরি বন্ধ করতে হবে।

সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদানের ক্ষেত্রে সব রকম বৈষম্য দূর করতে হবে। একই ক্যাটাগরিব সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে সমান হারে বিজ্ঞাপন

বন্টন করতে হবে এবং দ্রুত বকেয়া পরিশােধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও কোনও অজুহাতে অন্যায় পক্ষপাতিত্ব করা চলবে না। এই তিন বিষয়ে রাজ্যের তথ্য মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে এক চিঠিতে গতকাল লিখিত দাবি জানিয়েছে রাজ্যের সাংবাদিকদের সর্ববৃহৎ ঐক্য মঞ্চ অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস।

বৃহস্পতিবার দেওয়া এই চিঠিতে মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক শানিত দেবরায় লিখেছেন, আপনি অবশ্যই অবগত আছেন, অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস এ রাজ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সংবাদ মাধ্যমের বিকাশ ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। সংবাদ মাধ্যমের মালিক, প্রকাশক, সম্পাদক, সকলস্তরের সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীরা অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস'র অন্তর্ভুক্ত। স্বভাবতই, এটি ত্রিপুরায় সংবাদ মাধ্যমের সর্ববৃহৎ ঐক্যমঞ্চ । কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর কোনাে এক অজ্ঞাত কারণে আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনৈতিক আচরণ করছে। এমনকি, সংবাদ মাধ্যমের একমাত্র ঐক্যমঞ্চ হওয়া সত্ত্বেও গণমাধ্যমের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সরকারি কমিটি গুলােতে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস-এর কোনাে প্রতিনিধিত্ব নেই। ফলে, সারা রাজ্যের সংবাদ মাধ্যমের সমস্যা সার্বিকভাবে

সরকারের নজরে আসছে না। বরং সরকারি কর্মসূচিগুলাে নির্দিষ্ট একটি গােষ্ঠীর মাধ্যমে ব্যক্তি স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে। অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস তীব্র ভাষায় এর প্রতিবাদ জানায়। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সংবাদ মাধ্যম সংক্রান্ত সমস্ত কমিটির ক্ষেত্রে আগরতলা প্রেসক্লাবকে নিয়ামক শক্তি ও নীতি নির্ধারক হিসেবে ধরা হচ্ছে যা সংবাদ মাধ্যমের সার্বিক কল্যাণের পরিপন্থী। এটা সকলেরই জানা, রাজ্যের অন্যান্য জেলা ও মহকুমা প্রেসক্লাব গুলোর মতােই আগরতলা প্রেসক্লাব শুধুমাত্র এই শহরের কর্মরত সাংবাদিকদের (সমস্ত সংবাদ কর্মীও নয়।) একটি বিনােদন কেন্দ্র । আগরতলা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র মােতাবেক এটি সারা রাজ্যের সাংবাদিকদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব করার কোনাে সুযােগ নেই। স্থানীয়স্তরে শুধুমাত্র সাংবাদিকদের বিনােদন ও পেশাগত মানােন্নয়নের

বিষয়ে আগরতলা প্রেসক্লাব প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। কিন্তু অমরপুর, সাব্রুম কিংবা কৈলাসহরের সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব 'আগরতলা প্রেসক্লাব’ কখনােই করতে পারে না। সংবাদ মাধ্যমের সার্বিক প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারী একমাত্র অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস। কারণ, মালিক, সম্পাদক, সাংবাদিক, লেখক ও সমস্ত অংশের সংবাদ কর্মীদের ৮০ শতাংশ এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। অতএব, সংবাদ মাধ্যম সংক্রান্ত সরকারি সমস্ত কমিটিতে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস-এর প্রতিনিধিত্ব দ্রুত নিশিচত করতে হবে।

শ্রী দেবরায় তার চিঠিতে আরও লিখেছেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, তথ্য দফতর পরিকল্পিতভাবে অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্ট-এর নেতৃত্ব এবং এর সাথে যুক্ত সাংবাদিক ও সংবাদ প্রতিষ্ঠানের উপর আর্থিক অবরােধ তৈরি করছে। অর্জিত অধিকার হরণ করছে। সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলকভাবে, এই সংগঠনের সাথে যুক্ত একজনের সরকারি স্বীকৃতিপত্র আটকে দিয়েছে। অথচ, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত দুইজনকে তীব্র আপত্তিসত্ত্বেও সরকারি স্বীকৃতি (অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড) প্রদান করা হয়েছে। ফলে, একদিকে যেমন প্রকৃত সাংবাদিকের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তেমনি দেশের নিরাপত্তার সাথে সমঝোতা করে গুরুতর মামলায় অভিযুক্তদের সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। এসব ঘটনা কেবল সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে না, সাংবাদিকতার পবিত্রতা নিয়েও সাধারণ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরকারের বিজ্ঞাপন নীতি অমান্য করে নির্দিষ্ট কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমকে দেদার অর্থ পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে, পর্যাপ্ত সংখ্যক ছাপা কাগজ না থাকা সত্ত্বেও রঙিন লিফলেট জাতীয় প্রকাশনাকে সান্ধ্য দৈনিকের মর্যাদা দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। অথচ, স্বীকৃত পত্রিকা, চ্যানেল ও ওয়েবসাইট গুলােকে ন্যায্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে কোনও একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে। সারা রাজ্যের ছোট ছোট প্রকাশনা ও ক্যাবল চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে বিশেষ একটি গােষ্ঠীর কারসাজিতে। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের টুটি চেপে তাবেদার গণমাধ্যমে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা চলছে যা কোনােভাবেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কাম্য নয়। এবং অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস তা মেনে নিতে পারে না। আমরা বিশ্বাস করি, সংবাদ মাধ্যমের সাথে এ জাতীয় প্রতিহিংসামূলক আচরণ ও ব্যাভিচার কোন নির্বাচিত সরকারই করতে পারে না। কিন্তু সরকারের দোহাই দিয়ে একটি অসৎ চক্র দীর্ঘদিন ধরে এই কাজটি করে চলছে প্রশাসনের একাংশের সহযােগিতায়। উদ্দেশ্যপ্রণােদিত এ জাতীয় কাজকর্মের লক্ষ্য একটাই হতে পারে, বৃহদাংশ সংবাদ মাধ্যমকে সরকার-বিরােধী করে তােলা এবং গণতন্ত্রের ভিত দুর্বল করা।

অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্টস উপরােক্ত অনৈতিক ও প্রতিহিংসামূলক কাজকর্ম বন্ধ করা এবং এসব চক্রান্তের সাথে যুক্তদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছে। এই চিঠি পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে উল্লিখিত দাবিগুলি পূরণে যথাযথ ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানানো হয়েছে।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.