Hare to Whatsapp
ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দশ দিনব্যাপী কৈলাশহর সংহতি মেলা শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন হল
By Our Correspondent
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ১৭, : ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আশ্রয় সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে কৈলাশহর ধর্মনগর সড়কের পদ্মেরপারে আয়োজিত একুশতম সংহতি মেলার গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সমাপ্তি ঘটেছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী এই মেলার উদ্বোধন হয়েছিল। উদ্বোধন করেন ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংবাদিক শানিত দেবরায়, ডঃ বিস্বেন্দু ভট্টাচার্য, জয়ন্ত দেবনাথ, বিএসএফের পানিসাগর সেক্টরের ডিআইজি রাজীব কুমার দূয়া ও আশ্রয় এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীরজিৎ সিংহ। সবাই একযোগে প্রদীপ প্রজ্বলন করে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন।
মেলার উদ্দোগতারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আশ্রয় -এর উদ্যোগে দেড়শটি স্টল তৈরি করে দেওয়া হয়। এই স্টল গুলোতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্ব-সহায়ক দল ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা তাদের পসরা সাজিয়ে বসেন। মেলার দশ দিনই এক একেকটি দিনকে বিশেষ দিবস হিসাবে হিসাবে পালন করা হয়। যেমন উদ্বোধনী দিবস, সৌভ্রাতিত্ব দিবস এই এই দিবসে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর সংগ্রামী জীবন নিয়ে আলোচনা হয়।
উল্লেখ করা যেতে পারে, এবারের সংহতি মেলা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্ম বর্ষ উপলক্ষে নিবেদিত ছিল। প্রবীণ দিবসে কৈলাসহরের বহু প্রবীণ নাগরিকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সৈনিক দিবসে প্রাক্তন সৈনিকদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। মহিলা দিবসে মহিলাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্যোগ দিবসে ছিল সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর আলোচনা এবং ম্যাজিক শো আয়োজিত হয়। স্বচ্ছ দিবসে খেলার মাঠে স্বচ্ছ ভারত অভিযান আয়োজিত হয়। শিশু, যুব এবং স্বাস্থ্য দিবসে শিশুদের মধ্যে অঙ্কন প্রতিযোগিতা, রক্তদান শিবির ও স্বাস্থ্য শিবির আয়োজিত হয়, সন্ধ্যায় যুবকদের মধ্যে রসগোল্লা প্রতিযোগিতা ও রাতে বিএসএফ ব্যান্ডের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে বিএসএফের শিল্পীরা পুওলবামা হত্যা কান্ডের স্মরনে দেশাত্ববোধক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। বেশ কয়েক হাজার দর্শক মাঠে উঠে দাঁড়িয়ে মোবাইল লাইট জ্বালিয়ে সংহতি জানান। প্রকাশ দিবসে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে যারা প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের সংবর্ধনা জানানো হয় (৪৭৬ জনকে)। এছাড়া কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিলচর রিজিওনের মধ্যে কৈলাসহর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের তিন জন ছাত্রছাত্রী যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে তাদেরকে সংবর্ধনা জানানো হয়। বীরজিৎ সিনহা যখন ত্রিপুরা সরকারের মন্ত্রী ছিলেন তখন তার প্রচেষ্টাতেই কৈলাসহরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
মেলার দশম দিনটিকে সংহতি দিবস হিসাবে পালন করা হয়। এদিন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জাতীয় সংহতির উপর বক্তৃতা প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সংহতি মেলার মুক্ত মঞ্চে দলমত ধর্ম নির্বিশেষে শিল্পীরা তাদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা অনুযায়ী তাদের কলা কৌশল প্রদর্শন করেন। কৈলাসহর ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের সংগীত শিল্পীরা নৃত্য গীতের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।