Hare to Whatsapp
বধির পুষ্পিতা পাল কথা বলার অপেক্ষায়
By Our Correspondent
আগরতলা, ডিসেম্বর ২৯, : রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে প্রথম ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সাফলাের সঙ্গে বাস্তবায়িত হওয়ার পর সাড়ে তিন বছরের শিশুর মুখের কথা বলানোর প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত জিবিপি হাসপাতালের চিকিৎসকগণ। এই সাফল্যে আনন্দিত শিশুটির পরিবার পরিজন। খোয়াইয়ের পহরমুড়ার বাসিন্দা সাড়ে তিন বছরের পুষ্পিতা পাল জন্ম থেকেই বধির। শ্রবণশক্তি না থাকার দরুণ কথাও সে বলতে পারতো না। বিষয়টি রাজ্যের চিকিৎসকরা শণাক্ত করার পর এই দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারের কন্যাটির ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারত সরকার ৫.৫ লক্ষ টাকার এই কৃত্রিম যন্ত্রটি বিনামূল্যে সরবরাহ করে। শুধু তাই নয়, রাজ্যে এই অপারেশনের জন্য মেন্টর হিসাবে আসেন কলকাতার প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ অমিতাভ রায় চৌধুরী। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অস্ত্রোপচার করেন জিবিপি হাসপাতালের ই এন টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ বিপ্লব নাথ। প্রায় তিন ঘণ্টার এই জটিল অপারেশনে টিমে অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ডাঃ অনুপম চক্রবর্তী সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও উপস্থিত জিবিপি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অপারেশন পর্ব সমাপ্ত হয়। সফল অস্ত্রোপচার শেষে শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠার পর কেরালা থেকে আগত স্পিচ থেরাপিস্টের পরামর্শ অনুসারে এখন রাজ্যের চিকিৎসকরা তাকে কথা বলানোর জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। গত ২৫ ডিসেম্বর মেয়েটির শ্রবণশক্তির পরীক্ষায় দেখা যায় যে সে স্বাভাবিকভাবেই শব্দ শুনতে পাচ্ছে। এখন শ্রবণ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে মস্তিষ্কে বিভিন্ন শব্দের পরিচিতি ঘটানোর কাজ শুরু করেছেন চিকিৎসক এবং স্পিচ থেরাপিস্টগণ। আগামী শুক্রবার তার পুনরায় পরীক্ষা নিরীক্ষা ও কথা বলানোর প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নেবেন চিকিৎসক এবং স্পিচ থেরাপিস্টগণ। চিকিৎসকদের পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদেরও প্রত্যাশা শ্রবণশক্তি যেহেতু শিশুকন্যাটি ফিরে পেয়েছে, তাই কথা বলার বহু প্রতীক্ষিত মুহূর্তটি অদূর ভবিষ্যতে আশা করা যাচ্ছে।