Hare to Whatsapp
উত্তর-পূর্বে মা কামাক্ষা ও মা ত্রিপুরাশ্বরীর আশীর্বাদ রয়েছে, তাই সবচেয়ে বেশি অক্সিজেন এখান থেকেই সরবরাহ হয়: মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, ডিসেম্বর ১৯, : আজ গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যাল ২০২০-তে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব। উক্ত অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ থেকে ১০ বছর আগেও উত্তর-পূর্ব ছিল অনগ্রসর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির দিশায় আজকে উত্তর-পূর্বের আটটি রাজ্যই অগ্রগতির পথে হাঁটছে এবং উন্নয়ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই সমগ্র উত্তর-পূর্ব দেশের মধ্যে মডেল হয়ে উঠছে।”
নতুন সরকারের সময়ে ত্রিপুরার উন্নয়নমূলক কাজেরও উদাহরণ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আগে যোগাযোগের জন্য ত্রিপুরায় একটি মাত্র হাইওয়ে ছিল। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রীর বিকাশের ধারায় ত্রিপুরায় নতুন সাতটি লাইফলাইন সংযোজিত হয়েছে। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময় অনেক কম লাগছে।”
উত্তর-পূর্বে উগ্রবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করে কী ভাবে প্রধানমন্ত্রীর দিশায় লোক শিল্পের বিকাশ সম্পন্ন হচ্ছে তারও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। গুয়াহাটির মঞ্চে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী একদিকে শিখিয়েছেন উগ্রবাদীদের সঙ্গে কোনও আপস নয় আবার অন্য দিকে বাম্বু ড্যান্সের মতো লোকশিল্পের প্রসারের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকাও অনস্বীকার্য। প্রধানমন্ত্রীজি অভিভাবকের মতো উত্তর-পূর্বকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।”
তাঁর কথায়, “আমি একটা বড় সময় দিল্লিতে থাকতাম। লোকে আসামের শিলচর শহরকে চিনত কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যের নাম জানত না। আজকে সেই জায়গা থেকে ত্রিপুরা বেরিয়ে এসেছে। বলা হতো ত্রিপুরা ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। তাই বহুতল উঠত না। এখন সেখানে ১৫ তলা বিল্ডিং নির্মাণ হচ্ছে।”
উত্তর-পূর্বের পর্যটন শিল্পের বিকাশের বিষয়েও আলোকপাত করেন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন, “গোটা উত্তর-পূর্বের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটছে। আমি দেশের মানুষকে আবেদন জানাই, এখানে আসুন। উত্তর-পূর্বে মা কামাক্ষা ও মা ত্রিপুরাশ্বরীর আশীর্বাদ রয়েছে। তাই সবচেয়ে বেশি অক্সিজেন এখান থেকেই সরবরাহ হয়। আমি সকলকে আহ্বান জানাই, যেন প্রধানমন্ত্রীর দিশায় আমরা উত্তর-পূর্বের অর্থনীতির সামগ্রিক বিকাশের লক্ষ্যে অগ্রসর হতে পারি।”