Hare to Whatsapp
বিজ্ঞাপন প্রদানে বৈষম্য দূরীকরনের দাবীতে তথ্য অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন নিউজপেপার সোসাইটি-র
By Our Correspondent
আগরতলা, ডিসেম্বর ১০, : রাজ্যের সংবাদপত্র ও বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম গুলি করোনা পরিস্থিতিতে তীব্র আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে গেছে। সরকারী ও বেসরকারি উভয় স্তরেই বিজ্ঞাপনের পরিমাণ মারাত্মক ভাবে হ্রাস পেয়ে গেছে। অথচ মিডিয়া হাউস গুলির খরচ প্রতিটি ক্ষেত্রেই দিন দিন বাড়ছে। মিডিয়া হাউস গুলিকে সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদানের ক্ষেত্রেও একটা কুৎসিত বৈষম্য চলছে।বহুক্ষেত্রে পলিসি মানা হচ্ছেনা। উদ্ভুত অবস্থার প্রেক্ষিতে ত্রিপুরা নিউজপেপার সোসাইটির একটি প্রতিনিধিদল গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে ত্রিপুরা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস-এর সাথে এক ডেপুটেশনে মিলিত হন।এবং করোনা কালে এবং করোনা উত্তর পরিস্থিতিতেউদ্ভূত রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও মিডিয়া হাউজগুলির বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তথ্য দপ্তরের সহযোগিতা চান।
ত্রিপুরা নিউজ পেপার সোসাইটির বিভিন্ন দাবী দাওয়া মধ্যে ছিল-
১)রাজ্যের ব্লক, মহকুমা, জেলা ও রাজ্য স্তরের সাংবাদিকরা যাতে স্বাধীনভাবে ভয়মুক্ত থেকে সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেন, এজন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে তথ্য দপ্তরকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।
২)নয়া বিজ্ঞাপননীতি অতিসত্বর চালু করা এবং নয়া বিজ্ঞাপন পলিসিটি বাস্তবায়ন সাপেক্ষে পুরানো বিজ্ঞাপন নীতি অনুযায়ী প্রতিটি সংবাদপত্র, ক্যাবল টিভি ও ওয়েবসাইটকে নিয়ম মেনে বিজ্ঞাপন প্রদান করা।কারোর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ না করা।
৩) নয়া এক্রিডিটেশন রুলস অনুযায়ী বিভিন্ন সংবাদপত্র ও মিডিয়া হাউজগুলির প্রকৃত সাংবাদিকদের এক্রিডিটেশন কার্ড অতিসত্বর প্রদান করা। এক্ষেত্রে মফস্বলের প্রকৃত সাংবাদিকদের কিভাবে সরকারি স্বীকৃতিপত্র প্রদান করা যায় অতিসত্বর এনিয়ে সরকারী সিদ্ধান্ত ঘোষনা করা।
৪) রাজ্যে প্রচুর সংখ্যক আন রেজিস্টার্ড সাপ্তাহিক, পাক্ষিক পত্রিকা ও লিটল ম্যগাজিন রয়েছে। বহুক্ষেত্রে যথাযথ সরকারী বিজ্ঞাপন সহায়তার অভাবে এসব ছোট পত্রিকা ও লিটল ম্যগাজিন গুলির অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। এসব সাপ্তাহিক পত্রিকা ও লিটল ম্যাগাজিনগুলিকে বাচিয়ে রাখতে তথ্য দপ্তরেরতরফে বিশেষ উদ্যোগ গ্র্রহন করা।
৫) বহুক্ষেত্রে দৈনিক ও সাপ্তাহিক সংবাদপত্র, ক্যাবল টিভিওওয়েবসাইট গুলির
‘ক্যাটাগরাইজেশন’ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।অনেকমিডিয়া হাউজই ক্যাটাগরি অনুযায়ী সরকারী বিজ্ঞাপন পাচ্ছেননা। আবার অনেক সংবাদপত্র, ওয়েবসাইট ও ক্যাবল টিভি চ্যানেলকে আজ বহু বছর ধরে একই ক্যাটাগরীতে ফেলে রেখে বিজ্ঞাপন প্রদানে তাদের আর্থিকভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই বঞ্চনা দ্রুতদূর করতে হবে।
৬)যেসব সংবাদপত্র,ওয়েবসাইটও ক্যাবল টিভি-চ্যানেল উচ্চতর ক্যাটাগরীতে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে তাদের আবেদনের ভিত্তিতে সেই অনুযায়ী উচ্চতর ক্যাটাগরীতে উন্নীতকরন করতে হবে। এবং যেসব ওয়েবসাইট সবচেয়ে পুরানো তাদের জন্যে উচ্চতর একটি নতুন ক্যাটাগরী প্রনয়ন করতে হবে।
৭)আজ বহুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, বিজ্ঞাপনের বিল প্রদানের কাজ অনলাইনে প্রদান প্রক্রিয়া চালুর পর থেকে তথ্য দপ্তর কোন বিজ্ঞাপনের বিল প্রদান করা হলো তার কোন সেংশন মেমো বা তথ্য সংবাদপত্র বা মিডিয়া হাউজগুলিকে প্রদান করছেন না। এর ফলে জি এস টি রিটার্ন সহ ইনকাম ট্যাক্স ফাইল বা এসংক্রান্ত হিসাব রক্ষনাবেক্ষনে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে মিডিয়া হাউজগুলিকে। তাই বিজ্ঞাপনের বিল পেমেন্টের সময় কোন কোন বিজ্ঞাপনের বিল প্রদান করা হয়েছে তার একটি সেংশন মেমো সাথে সাথে মিডিয়া হাউজগুলিকে প্রদানের দাবী জানানো হয়েছে।
৮) জেলা ও মহকুমা স্তরের প্রকৃত সাংবাদিকদের শুধু সরকারি এক্রেডিটেশন কার্ড প্রদানই নয়, তাঁদের সরকারি পেনশন প্রকল্পের আওতায়ও আনতে হবে।
তথ্য অধিকর্তা অত্যন্ত ধৈর্য্য ধরে নিউজপেপার সোসাইটির প্রতিনিধিদের এসব দাবী ও বিভিন্ন সমস্যা গুলির কথা শোনেছেন। এবং উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত এসব সমস্যাগুলি আশু সমাধানে আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তথ্য অধিকর্তার সাথে ডেপুটেশনকালে ত্রিপুরা নিউজপেপার সোসাইটির প্রতিনিধিদলে ছিলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক অরুন নাথ, শানিত দেবরায়, জয়ন্ত দেবনাথ, রঘুনাথ সরকার, প্রশান্ত ভট্টাচার্য, রাজীব দত্ত, আয়ুব সরকার প্রমুখ।
শ্রী সুবল কুমার দে, চেয়ারম্যান , ত্রিপুরা নিউজপেপার সোসাইটিএক বিবৃতিতে এখবর জানিয়েছেন।