রক্তদানের থেকে ভাল কোন কাজ আর হতে পারেনা : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ২৫ , : রক্তের কোনও বিকল্প হয়না। রক্তদানের থেকে ভাল কোন কাজ আর হতে পারেনা। রক্তদান শরীরের জন্যও উপকারী। ২৪ জানুয়ারি বড়দোয়ালীর মধ্যপাড়ায় নব অঙ্গীকার সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে ১৬তম শিশু মেলা উপলক্ষে আয়োজিত রক্তদান উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, একজন সুস্থ সবল পুরুষ তিন মাস অন্তর অন্তর এবং মহিলা চার মাস অন্তর অন্তর রক্তদান করতে পারেন। পুরুষের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে সাধারণত প্রায় ২৬ মিলিলিটার এবং মহিলাদের প্রতি কেজিতে সাধারণত প্রায় ১৬ মিলিলিটার উদ্ধৃত রক্ত থাকে। তাই ৩৫০ মিলিলিটার রক্ত দান করা হলে তা শরীরের উদ্ধৃত রক্তের সামান্য অংশ মাত্র। রক্তদান করা হলে শরীরে নতুন করে রক্ত তৈরী হয়। তাই মুমুর্ষ মানুষের জীবন রক্ষায় রক্তদানের গুরুত্ব অপরীসীম। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রক্তদান শিবির আয়োজিত হচ্ছে। মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে রক্তদানে এগিয়ে আসছেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনে জনসচেতনতার পাশাপাশি নেশার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে ভারতকে শ্রেষ্ঠত্বের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমানে রাজ্য সরকারও ত্রিপুরাকে মডেল রাজ্যে পরিণত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছে। তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকারের উপর জনগণের বিরাট আস্থা রয়েছে। এই সরকারও জনগণের সার্বিক কল্যাণে সচেষ্ট রয়েছে। শিল্প, কৃষি, পরিষেবা সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজ্যের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরার মাথা পিছু গড় আয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুরনিগমের কর্পোরেটর সম্পা সরকার চৌধুরী, টিআরটিসি'র বোর্ড অব ডিরেক্টরের সদস্য শ্যামল কুমার দেব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নব অঙ্গীকার সামাজিক সংস্থার সম্পাদক দেবদাস বক্সী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি বি কে রায়, আগরতলা পুরনিগমের প্রাক্তন কাউন্সিলার জয়ন্ত চৌধুরী, নব অঙ্গীকার সামাজিক সংস্থার সভাপতি কিশোর মজুমদার, ১৬তম শিশু মেলা কমিটির চেয়ারম্যান ডা. প্রণবেন্দু বর্মণ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে এলাকার বিশিষ্ট লেখক নারায়ণ চন্দ্র মিত্রের লেখা একটি কাব্যগ্রন্থ মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রক্তদাতাদের উৎসাহিত করেন।