Hare to Whatsapp
বন্ধকে ঘিরে হামলা সন্ত্রাস আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আইনানুগ শাস্তির দাবি জানালো বামফ্রন্ট কমিটি
By Our Correspondent
আগরতলা, নভেম্বর ২৬, : আজ ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও বিভিন্ন সেক্টরের জাতীয় ফেডারেশন গুলি কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক ও কৃষক বিরোধী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশব্যাপী সাধারণ ধৰ্মঘটের আহ্বান জানিয়েছিল। ত্রিপুরা বামফ্রন্ট কমিটি এই ধৰ্মঘটের প্রতি সমর্থন জানায়।
বামফ্রন্টের অভিযোগ, ত্রিপুরায় এই ধর্মঘটকে বানচাল করার জন্য বিজেপি'র হুমকি ছিল। তবে রাজ্যবাসী বিজেপি-র হুমকি ও হামলা সন্ত্রাস উপেক্ষা করে বন্ধে সামিল হরেছে। রাজ্যের জনগণ ধর্মঘটকে সার্বিকভাবে সর্বাত্মক সফল করায় ত্রিপুরা বামফ্রন্ট কমিটি জনগণকে এক বিবৃতিতে অভিনন্দন জানিয়েছে।
বামফ্রন্টের অভিযোগ, ধর্মঘট বানচালে ব্যর্থ হয়ে বিজেপি আশ্রিত সমাজবিরোধীরা সি আই টি ইউ রাজ্য দপ্তর, বামফ্রন্টের শরিক সি পি আই-এর রাজ্য দপ্তর, এবং এস ইউ সি আই (সি)’র রাজ্য দপ্তরে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আগুনে ভস্মীভূত করা হয়েছে সাব্রুমের বটতলা, ছোটখিলের সি পি আই (এম) কার্যালয় এবং বটতলার একটি দোকান। বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সাব্রুমের ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটি (হ-গ-ব)-র মহকুমা কার্যালয়টিও আগুনে
ভস্মীভূত করেছে। গণ্ডাছড়াস্থিত সি পি আই (এম)'র মহকুমা দপ্তরে তালা লাগানো হয়েছে। কুমারঘাট, জিরানীয়া, খোয়াই প্রভৃতি স্থানে নিগৃহীত হয়েছেন ৮ জন সি পি আই (এম) কর্মী।
এ ছাড়া বিজেপি'র সমাজদ্রোহীদের হামলায় বক্সনগরে একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। হামলা চালানো হয়েছে মেলারমাঠের একটি হোটেলে এবং একজনকে আহত করা হয়েছে।
সি পি আই রাজ্য দপ্তর বন্ধ ছিল। শাবল দিয়ে দরজা ভেঙ্গে অফিসের যাবতীয় আসবাবপত্র ভেঙ্গে ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়। বই-কাগজপত্র বিনষ্ট করা হয়। ত্রিপুরা বামফ্রন্ট কমিটি বিজেপি’র সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের এসব আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং এসব ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার
ও আইনানুগ শাস্তির দাবি জানিয়েছে।