মহিলাদের ক্ষমতায়নে রাজ্য সরকার বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, ২৫ , : মহিলাদের ক্ষমতায়ন না হলে সমাজ, রাজ্য ও দেশ শক্তিশালী হতে পারে না। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে মহিলাদের ক্ষমতায়নে রাজ্য সরকার বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। ২৪ জানুয়ারি আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে তৃতীয় রাজ্যভিত্তিক শহুরি সমৃদ্ধি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, মহিলারা সমাজের চালিকাশক্তি, তাদের সম্মান দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহিলাদের ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তাদের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প চালু করেছেন। সার্বিক অর্থে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এবং সবকা প্রয়াসকে যুক্ত করে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার রাজ্যে কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার সরকারি চাকুরিতে মহিলাদের সংরক্ষণ, টিএসআর ব্যাটেলিয়নে মহিলাদের নিয়োগ, গত বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্মনির্ভর যোজনা নামে প্রকল্প চালু করা, গন্ডাতুইসা সরকারি ডিগ্রি কলেজে ৫০ আসন বিশিষ্ট ছাত্রী আবাস নির্মাণ করা হচ্ছে, মহিলাদের সুবিধার জন্য পিঙ্ক টয়লেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়াও রাজ্যে ৯টি মহিলা থানা চালু করা হয়েছে। তাছাড়াও মহিলাদের সুরক্ষার প্রশ্নে হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে মহিলা স্ব-সহায়ক দলের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। বর্তমানে গ্রামীণ মহিলা স্বসহায়ক দলের সংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার। লাখপতি দিদির সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সব স্তরেই সামগ্রিক বিকাশের ফলে রাজ্যে মাথাপিছু গড় আয় গত ৬ বছরে আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া জিডিপিও বেড়েছে আগের তুলনায়। তিনি বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক উন্নত হয়েছে। অনেকে চেষ্টা করেছেন আইন শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার জন্য। কিন্তু রাজ্য সরকার দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই উৎসবে মহিলাদের উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রী পরিদর্শন তাঁদের আত্মমর্যাদার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসকেও শক্তিশালী করবে। সরস মেলাতেও স্ব-সহায়ক দলের উৎপাদিত সামগ্রী ভালো বিক্রি হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি ত্রিপুরার শহুরী আজীবিকা মিশনের উদ্যোগে চালু করা সেবাশ্রী প্রকল্প এবং সম্পূর্ণা ক্যান্টিনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য এবং শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার। অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন আগরতলা পুরনিগমের সেন্ট্রাল জোনের চেয়ারপার্সন রত্না দত্ত। এই উৎসবে রাজ্যের ৮টি জেলা থেকে ২৩০টি স্বসহায়ক দল অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের ২১টি স্টল এই উৎসবে রয়েছে। মূলতঃ স্বসহায়ক দলের হস্তজাত সামগ্রী, গৃহসজ্জার সামগ্রী, চিরাচরিত খাবার প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য অতিথিগণ বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সাথে মতবিনিময় করেন।


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.