Hare to Whatsapp
এডভোকেট জেনারেলের এই মৃত্যু ত্রিপুরার চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশাকেই ফের বেআব্রু করে ছাড়লো!
By Our Correspondent
আগরতলা, নভেম্বর ২১, : পান্ডববর্জিত রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্হা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রশ্ন গভীর হয়েছে আজ সাতসকালে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল অরুন কান্তি ভৌমিকের মৃত্যর সংবাদে। গতকাল তাকে এয়ার এম্বুলেন্সে কোলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে তাকে আগরতলা এয়ার পোর্টে নেওয়ার সময় একটা আধুনিক সরকারী এম্বুলেন্স পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অগত্যা সংহতি ক্লাবের একটি সাধারণ এম্বুলেন্সে তাকে এয়ারপোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। কোলকাতাতেও গতকাল সরকারী স্তরে তার চিকিৎসাকালে বড় কোন অফিসার ছিলেননা। একজন ত্রিপুরা ভবনের স্টাফ কিছুক্ষন সময় থেকে হাসপাতাল থেকে চলে আসেন। আজ তার ডেডবডির কিভাবে কি হবে এনিয়েও সরকারী স্তরে সকাল পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেই। ত্রিপুরাতে অবস্থানকালেও তার চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সরকারী স্তরে যতটা করার কথা ছিল করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে একজন এডভোকেট জেনারেলের সাথে এমনটা হলে সাধারন মানুষের সাথে কি হবে? রাজ্যবাসী কোন ভরসায় রাজ্যে চিকিৎসিত হবেন? ত্রিপুরায় চিকিৎসার ভরসার জায়গাটা কোথায়?
রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবি হাসপাতাল।করোনা রোগীদের একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে এখানেই। সরকারী দাবী চিকিৎসার মান ও পরিকাঠামো বৃদ্ধি করা হয়েছে।অক্সিজেন যাতে সুষম ভাবে সরবরাহ হয় তার ব্যবস্হাও নাকি করা হয়েছে।ভেন্টিলেশন ব্যবস্হাও নাকি এখন উন্নত। অথচ, অভিজ্ঞতা বলছে জিবিতে চিকিৎসাধীন কোন রোগীর পরিস্হিতির অবস্হা অবনতি হলে রোগীকে রেফার করে দেয়া হচ্ছে। হয় বহিরাজ্যে, নয় এখানকার বেসরকারী হাসপাতালে। ওখানেও সেই একই অবস্হা।
অরুন কান্তি ভৌমিককে প্রচুর অর্থব্যয়ে এয়ার এম্বুলেন্সে কলকাতা উড়িয়ে নেয়া হলেও শেষ রক্ষা হল না। গতকাল উনাকে কলকাতায় উড়িয়ে নেয়ার পর ভর্তি করানো হয় এপেলোতে। কিন্তু আজ সাত সকালেই তার মৃত্যু হয়।
প্রশ্ন হল উনাকে তো গত বৃহস্পতিবারই প্রথমে আই জি এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আইজিএম থেকে শেষ পর্যায়ে পাঠানো হয় আইএল এসে। ওরাও ব্যর্থ হয়ে গতকাল বিকালের পর পাঠানো হয় কোলকাতায়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এখানে কি চিকিৎসা করা হল? অবস্হা খারাপ থাকলে আগেই তো উনাকে রেফার প্রয়োজন ছিল।আগে তা না করে বরং তার অবস্হা জটিল হয়ে যায়।আগে হয়ত কলকাতায় পাঠানো হলে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখো হতে হত না।
করোনায় সব চেয়ে বড় উপসর্গ শ্বাসকষ্ট। অথচ তাকে এয়ারপোর্টে পাঠানো হল সাধারণ এম্বুলেন্সে। শ্বাসকষ্টের উপশম দূর করার জন্য জিবি-র কোভিড কেয়ার ইউনিটে তাহলে কিসব ধরনের ব্যবস্হা করা হয়েছে?
যে হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা করা যায় না, সেখানে অন্য কি প্রত্যাশা করা যেতে পারে?
খবর হল জিবি হাসপাতালে ইদানীং চিকিৎসা পরিষেবার মানের আরও উদ্বেগজনক অবনতি হয়েছে। তাই এডভোকেট জেনারেলকেও জিবিতে নেওয়া হয়নি।