Hare to Whatsapp
রাজধানীতে বাড়ছে বায়ূদূষন,বাড়ছে শ্বাসকষ্টের রোগী,উর্ধমুখী করোনা সংক্রম
By Our Correspondent
আগরতলা, নভেম্বর ২০, : সব ধরনের রাজ্য ও কেন্দ্রিয় বিধি অমান্য করে রাজ্যে বিশেষকরে রাজধানী আগরতলার বৃহ ওর এলাকাজুড়ে ইটবালু সিমেন্টের বেহিসাবী কাজ চলছে তাতে উদ্বেগজনক পরিস্হিতির সৃষ্টি হয়ে চলেছে।বায়ু ও পরিবেশ দূষণ মারাত্মক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে উদ্বেগজনক ভাবে।শ্বাসকষ্টের রোগীরা পড়ছেন বেকায়দায়।এরা কোথায় যাবেন,চিকিৎসক পাবেন কোথায়? এমনিতে রাজ্যে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের চিকিৎসক তেমন নেই।একদিকে চিকিৎসা জনিত সমস্যা অন্যদিকে রোগীদের কষ্ট বেড়েই চলেছে।কোন উপায়ান্তর না পেয়ে রোগী বা এদের আত্মজনরা ছুটছেন অক্সিজেন স্প্রেয়ার কিনতে।এক একটির দাম পড়ছে পাঁচশ টাকার মত।এক দুদিন সীমিত ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।এই ব্যবসায়ীদের এখন পোয়াবারো।রাজধানীর আকাশে ,বাতাসে এখন ভাসছে ধুলো,বালি,সিমেন্টের গুড়ো।এতে ক্রমশঃ শ্বাসকষ্ট বাড়ছেই ।আগরতলায় এখন চলছে অস্বাভাবিক ভাবে এপার্টমেন্ট তৈরী। একগন্ডা জায়গার উপর গড়ে তোলা হচ্ছে চারতল বিশিষ্ট বিল্ডিং।আর দুগন্ডা জায়গার উপর উঠছে পাঁচতল বিশিষ্ট এপার্টমেন্ট।অগ্রিম বুকিং হয়ে যাচ্ছে।কিন্তূ সমস্যা অন্যত্র।এই সব এপার্টমেন্ট তৈরী করা হচ্ছে মূলতঃ পুরসভার অনুমোদন ছাড়া।নিয়মবিধি অনুযায়ী এইসব নির্মান কাজে পলিথিনের কভার দেয়া বাধ্যতামূলক।এটা বাধ্যতামূলক এই কারনে যে ধূলো,বালি,সিমেন্ট যাতে পাশের বাড়ীঘরে না যায়। এতে পাশের বাড়ীঘরে বসবাসকারীদের দূষন সমস্যায় ভূগতে হয়।কিন্তু বিল্ডারদের ৯০ শতাংশ এসবের পড়োয়া করছে না।খোলা রেখেই নির্মান কাজ করা হচ্ছে।প্রতিবেশীদের বাড়ীঘড় তো এখন ধূলিময় হয়ে গেছে।স্বাভাবিক ভাবে বসবাসকারীরা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগতে শুরু করেছে।ছুটছে এরা চিকিৎসকদের কাছে।যে কজন চিকিৎসক আছেন তাদের ওখানে কিউ।
শ্রমিকদের জন্য যেসব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্হা নিতে হয়,তাও হচ্ছে না।প্রতিটি শ্রমিকের হেলমেট পড়া বাধ্যতামূলক।বিল্ডারদের এসব সরবরাহ করতে হয়।কিন্তু সরবরাহ তো করাই হচ্ছে না,চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্হা করা হচ্ছে না।কেন্দ্র,রাজ্যের শ্রমিক কল্যান দপ্তর শ্রমিক নিরাপত্তা ও কল্যান দেখভাল করে থাকে।কিন্তূ এরা থিতু মেরে রয়েছে।সব টুপাইসের বিনিময়ে হয়ে থাকে।প্রভিডেন্ট ফান্ড দপ্তরের দায়িত্ব শ্রমিকরা দেখতেই পাচ্ছেন না।এই সব নির্মান শ্রমিক বহিরাজ্যের।এরা নিজেদের অধিকারের কথা বলতেই পারে না।বললে কাজ কেড়ে নেয়া হয়।অন্ততঃ অভিযোগ এমনই। কিন্তু যে ভাবে রাজধানীর পরিবেশ দূষণ হচ্ছে,শ্বাসকষ্ট বাড়ছে তা উদ্বেগের কারন।এমনিতে চিকিৎসা পরিষেবা এরাজ্যে প্রশ্নের মুখে।বিওবান রোগীরা মোটা অংকের বিনিময়ে এয়ার এম্বুলেন্সে বহিরাজ্যে চলে যাচ্ছেন।অন্যরা কদিন ঘোরাফেরার পর টিকিট কেটে ছুটছেন অন্যরাজ্যে।কিন্তু সাধারন মানুষজন তো আর এটা পারছেন না।এমনিতে এখন রাজ্যেও করোনা সংক্রমিত র সংখ্যা বাড়ছে।শীতে করোনা বেশী ভাবে সংক্রমিত হবে এটা বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছেন।এই সংক্রমন রোধে ব্যাপক প্রতিরোধাত্মক ব্যবস্হা রাজ্য নিয়েছে বলে তেমন খবর নেই।