Hare to Whatsapp
সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে : সুশান্ত চৌধুরী
By Our Correspondent
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ৯, : সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যপূরণে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রাণীরবাজার টাউন হলে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মধ্যে আয়ুষ্মান কার্ড প্রদান করতে গিয়ে আজ একথা বলেন বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বিশ্বের বৃহত্তম ‘হেল্থ কেয়ার’ প্রকল্প। গোটা বিশ্বে উচ্চ প্রশংসিত এই প্রকল্পকে অনেকে ‘মোদী কেয়ার’ নাম দিয়েছেন। কারণ, এর মাধ্যমে দেশে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার গরিব মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুনিশ্চিত হয়েছে।
‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ মন্ত্র নিয়ে চলতে থাকা আমাদের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার উন্নয়নের পঞ্চধারার প্রতি সমর্পিত। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, যুবসম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান, বয়স্কদের ওষুধ, কৃষকদের সেচ আর প্রত্যেক মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনা – এগুলিই আমাদের উন্নয়নের রাজপথ।
এই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প স্বাস্থ্য পরিষেবায় বৈষম্য দূর করে অসহায় দুস্হ মানুষদের জন্য স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে খরচ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে, একইসঙ্গে সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে সম পরিমাণে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান সম্ভব হয়েছে।তিনি আরও বলেন, দেশের গরিব, অসহায় মানুষদের কাছে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবসময় জোর দিয়েছেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গরিবদের উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এতে দেশের মধ্যবিত্ত মানুষের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে খরচ অনেকটাই লাঘব হয়েছে এবং স্হায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যেও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের সরকার সচেষ্ট যাতে কোন গরিব মানুষ গৃহহীন না থাকেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের গরিবদের বিনামূল্যে পাকাবাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য সারা দেশের সাথে আমাদের রাজ্যেও ব্যাপক অভিযান চালানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে যাঁরা বাড়ি পেয়েছেন, তাঁরা সঙ্গে পেয়েছেন শৌচালয়, পানীয় জলের সংযোগ এবং উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগও। এরকম অনেক পরিষেবা গরিবের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে।সাধারণ মানুষের জীবনকে সরল এবং তাদের যাতায়াত ব্যবস্থাকে সুগম করতে সারা দেশে নানা স্মার্ট ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এর নেতৃত্বে জমি হোক কিংবা অরণ্য-সম্পদ হোক, লেখাপড়া হোক কিংবা ক্রীড়া প্রতিভা হোক, প্রতিটি স্তরে জাতি-উপজাতিদের কল্যাণে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আজ গরিবদের জন্য, আদিবাসীদের জন্য, মধ্যবিত্তদের জন্য যত প্রকল্প চলছে, সেগুলির মূলে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-ই আমাদের প্রেরণা। মোদীজির নেতৃত্বে পরিচালিত কেন্দ্রের সরকার নামের বদলে কাজকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। আজ সরকারি প্রকল্পগুলির নাম কেমন হয়? আয়ুষ্মান ভারত যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা। কিন্তু কোথাও মোদীর নাম নেই। এটা থেকেই বোঝা যায় যে আমাদের উদ্দেশ্য জনগণের উন্নয়ন। তিনি আরও বলেন, ইতিবাচক ভাবনার সঙ্গে সঠিক প্রচেষ্টাই ‘নতুন ভারত’ এবং 'এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা' নির্মাণের উপায়। এই পথে আমাদের প্রত্যেককে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে হবে। এই ইতিবাচকতা নতুন বছরে দেশের এবং রাজ্যের কোণায় কোণায় প্রত্যেকের মন ও মস্তিষ্কে উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগাচ্ছে। আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার সঙ্কল্প নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। আজকের অনুষ্ঠানে এলাকার জনগণের মধ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের "আয়ুষ্মান ভারত কার্ড" বিতরণ করা হয় ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিরানিয়া মহকুমার মহকুমা শাসক,রাণীরবাজার পৌরপরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান,বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা ।