নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর আত্মত্যাগের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে বেশি করে তুলে ধরতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ২৪, : দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম কিংবদন্তী নেতা ছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্ৰ বসু। দেশকে স্বাধীন করার জন্য যেভাবে তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তা সবসময়ই চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সুভাষচন্দ্র বসুর এই আত্মত্যাগের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে বেশি করে তুলে ধরতে হবে। ২৩ জানুয়ারি নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতন মাঠে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৯তম জন্মদিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাজী ছিলেন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন আপোষহীন যোদ্ধা। ব্রিটিশ শাসক নেতাজীকে ১১ বার কারারুদ্ধ করেও আটকাতে পারেননি। নেতাজী ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে জাপানের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেছিলেন। নেতাজীর বিখ্যাত উক্তি ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব' আজও দেশবাসীর মনে স্মরণীয় হয়ে আছে। নেতাজীর দেশপ্রেম যুব সমাজকে আরও বেশি করে উপলব্ধি করতে হবে। নেতাজীর দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস স্মরণীয় করে রাখার জন্য বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার নেতাজীর জন্মদিনকে ‘পরাক্রম দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সহ সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার দাস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, কর্পোরেটর রত্না দত্ত এবং বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সম্পাদক তপন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সূচনা করেন। শোভাযাত্রায় নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের ছাত্রছাত্রী সহ অন্যান্য বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাগণ অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন...