Hare to Whatsapp
ডিসেম্বরে মোদী- হাসিনা শীর্ষ বৈঠক ঘিরে ঢাকা-নয়াদিল্লীর তৎপরতা বাড়ছে
By Our Correspondent
আগরতলা, নভেম্বর ১৫, : আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের বৈঠক। বৈঠক হবে ভার্চুয়াল। এই বৈঠকে দু'দেশের মধ্যে বানিজ্য সম্পর্ক তেমন প্রাধান্য পেতে পারে তেমনি বানিজ্যিক ঘাটতি নিয়েও আলোচনা হবে।আলোচনায় প্রাধান্য পেতে পারে জল বন্টন ইসু্। নদীর জল বন্টন নিয়ে দু'দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।তিস্তার জল বন্টন ইস্যু দীর্ঘদিনের।বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলি তিস্তার জলবন্টন ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সরকারকে বরাবর আক্রমন করে যাচ্ছে।বাংলাদেশে ভোটের ময়দানে বিরোধী বিএনপি র একমাত্র ও অভিন্ন ইস্যু তিস্তার জল বন্টন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার এজেন্ডা নিয়ে আলোচনার জন্য ডিসেম্বরে নয়া দিল্লী সফরে আসবেন বলে খবর।
নয়াদিল্লী সফর সম্পর্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায় বলেছেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল আলোচনার আগে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি নয়া দিল্লি সফর করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠক ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ১৬ বা ১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, নরেন্দ্র মোদিকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ২৬ মার্চ ব্যক্তিগতভাবে উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
তিনি গত মাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোড়াইস্বামীর সঙ্গে তাঁর প্রথম বৈঠকের পর বলেছিলেন, ঢাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং নয়াদিল্লী নীতিগতভাবে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলতি বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের কথা থাকলেও কভিড-১৯ মহামারীজনিত কারণে এই সফর বাতিল করা হয়েছিল।
ড. মোমেন ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত পরের বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করবে এবং আশা করা হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই উদযাপনের উদ্বোধনে যোগ দেবেন।
গত সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের ষষ্ঠ জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকের আগে ড. মোমেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় এখানে কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাতকালে ভারতীয় হাইকমিশনার দোরাইস্বামী আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল হাসিনা-মোদি শীর্ষ বৈঠককে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগতভাবে সফরের বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি গত বছরের ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লীতে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উপভোগ করছে, যাকে উভয় দেশের নেতারা ‘সোনালি অধ্যায়’ এবং ‘দৃঢ়’ বলে অভিহিত করছেন।
বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে ‘রক্তের সম্পর্ক’ বলে উল্লেখ করে বলেছেন, আমাদের বিজয় ভারতের জয়, আমাদের উন্নয়ন ভারতের উন্নয়ন। কোনো কিছুই এই (বাংলাদেশ-ভারত) সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।
নয়া দিল্লি এবং ঢাকা অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টন সংক্রান্ত অমীমাংসিত বিষয়ে আলোচনা করতে চলতি বছরে মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) বৈঠক আয়োজনের অপেক্ষায় আছে।