Hare to Whatsapp
দীপাবলীর আগেই আকছাড় শব্দবাজী বিক্রি ,প্রবীনদের উদ্বেগ বাড়ছে
By Our Correspondent
আগরতলা, নভেম্বর ১২, : শনিবার দীপাবলী।কিন্তু তার আগে যে ভাবে পটকা,আতস বাজী মুড়িমুড়কির মত বিকোচ্ছে তা আগামী দিনের পক্ষে বিপজ্জ্বনক।বিশেষ করে এই করোনা আবহে।কিন্তু লাগামহীন বিক্রি রোধে প্রশাসনিক কোন তৎপরতা নেই।প্রশাসনের এই ভূমিকা পরিস্হিতিকে আরো উদ্বেগজনক করে তুলছে।
বিশেষজ্ঞরা বারবার হুঁশিয়ারী দিয়ে চলেছে যে দীপাবলীর নামে যেন কোন অবস্হায় পরিবেশ দূষণ না করা হয়।আকছাড় বাজী পোড়ানো হলে পরিবেশ দূষণ হবে এতে করোনা বেড়ে যাওয়ার আশন্কা থাকবে।শ্বাসকষ্ট দেখা দেবে।প্রবীনদের শ্বাসকষ্ট মারাত্মক ভাবে বেড়ে যাবে,চাপ পড়বে হাসপাতাল,নার্সিং হোম এবং স্বাস্হ্য কর্মীদের উপর। রাজধানী দিল্লীতে আগামী ৩১ শে নভেম্বর পর্যন্ত বাজী,পটকা,আতসবাজী নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।সেই সাথে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল জরিমানা করার বিধি আরোপ করা হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গে ও কঠোর বিধি নিষেধ আরোপিত করা হয়েছে।
কিন্তু আমাদের পান্ডব বর্জিত রাজ্যে নিয়মমাফিক ভাবে মাইকিং করা ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি ।কিছু কিছু লোক দেখানো অভিযান করা হয়েছে।কিন্তু মহারাজগন্জ,বটতলা,লেইক চৌমুহনী,দূর্গাচৌমুহনী সহ মঠ চৌমুহনী বাজার এলাকায় প্রকাশ্যেই শব্দবাজী বিক্রি করা হচ্ছে।পুলিশ দাড়িয়ে দাড়িয়ে সব দেখছে,কিন্ত কোন ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না।এ এক অদ্ভূত অবস্হা।দূর্মুখেরা বলছেন রাম রাজত্বে এসব হয়েই থাকে,এতে অবাক হ ওয়ার কিছু নেই।
কিন্তু শব্দবাজী বিক্রির অবস্হা দেখে প্রবীনরা তটস্হ হয়ে রয়েছেন।তাঁদের উদ্বেগ সরকার কিভাবে দূর করবে বা শব্দবাজী বিক্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেবে তা এখন বড় প্রশ্ন। তবে পুলিশকে পুরোপুরো ছাড়পত্র দেয়া হলে মূহূর্তে পুলিশ এসব বন্ধ করে দিতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে